বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইসবার্গ, যা "এ২৩এ" নামে পরিচিত, ক্রমশ যুক্তরাজ্যের সাউথ জর্জিয়া দ্বীপের দিকে এগোচ্ছে। এই হিমশৈলটি বর্তমানে দ্বীপ থেকে ১৭৩ মাইল দূরে অবস্থান করছে এবং এতে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে যে এটি দ্বীপের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। এর ফলে সাউথ জর্জিয়ার বন্য প্রাণী, যেমন পেঙ্গুইন এবং সিলের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে, যেহেতু অতীতে এমন সংঘর্ষে অনেক প্রাণী মারা গেছে।
এটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার ফিলচনার আইসশেলফ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমুদ্রে আটকে পড়ে এবং পরে গত ডিসেম্বরে মুক্ত হয়ে সাউথ জর্জিয়ার দিকে চলতে থাকে। হিমশৈলটি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার আকারের, যা ইংল্যান্ডের কর্নওয়াল কাউন্টির সমান, তবে এটি ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে এবং পানিতে পড়ে বড় বরফখণ্ড ভাঙছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, একসময় পুরো হিমশৈলটি বড় বড় টুকরা হয়ে যেতে পারে, যা সাউথ জর্জিয়ার পরিবেশে বিপদ সৃষ্টি করতে পারে।
এই ধরনের বড় হিমশৈলের সংঘর্ষ পূর্বে সাউথ জর্জিয়া দ্বীপে সমস্যার সৃষ্টি করেছে, যেমন ২০০৪ সালে "এ৩৮" আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক পেঙ্গুইন এবং সিলের ছানা মারা যায়। সাউথ জর্জিয়া দ্বীপটি গুরুত্বপূর্ণ বন্য প্রাণীর আবাসস্থল, বিশেষ করে কিং এমপেরর পেঙ্গুইন এবং হাতি সিলের জন্য। এর ফলে দ্বীপের প্রাণী এবং মৎস্যসম্পদের ওপর পরিবেশগত চাপ বাড়তে পারে।
গবেষকরা সতর্ক করছেন যে, এই আইসবার্গের কারণে পুরো সাউথ জর্জিয়া দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র ও প্রাণীজগতের জন্য মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। সাউথ জর্জিয়া সরকার এবং পরিবেশবিদরা পরিস্থিতি নজরদারি করছে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন।