গত কয়েক মাস ধরেই অনেক বিতর্ক, অনেক সমালোচনা, অনেক যুদ্ধ ও সংগ্রাম। শেষমেষ সপ্তাহখানেক আগে নাম পরিবর্তন এবং বেশকিছু দৃশ্য ছেঁটে ফেলার শর্তে ভারতীয় সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায় সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘পদ্মাবতী’ ছবিটি। সেই শর্তে নাম পাল্টে ‘পদ্মাবতী’ হয়ে যায় ‘পদ্মাবত’। আগামী ১৫ জানুয়ারি সারা ভারতজুড়ে এই নামেই মুক্তি পাচ্ছে ঐতিহাসিক কাহিনির ওপর নির্মিত বহুল আলোচিত সেই ছবি।
প্রথমে বলা হয়েছিল, নতুন বছরের প্রথম দিনেই অর্থাৎ ১ জানুয়ারি তার ‘পদ্মাবত’ রিলিজ করবেন নির্মাতা বানসালি। কিন্তু করনি সেনা ও রাজপুতদের কঠোর বিরোধিতায় তা সম্ভব হয়নি। ছবির নাম, দৃশ্য ও কাহিনি নিয়ে সেন্সর বোর্ডেও চলে নানা টালবাহানা। প্রস্তাব দেয়া হয়, ছবির নাম পাল্টে ফেলতে হবে এবং ২৬টি দৃশ্য কেটে বাদ দিতে হবে। তবেই মুক্তি পেতে পারে ‘পদ্মাবতী’।
এসকল প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের তরফ থেকে। ছবিতে প্রস্তাবিত পরিবর্তন আনা হলে ইউএ সার্টিফিকেটের অধিনে তা মুক্তি পাবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। সেইসব শর্ত মেনেই অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে আলোচিত ও সমালোচিত ‘পদ্মাবতী’।
১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ ছবির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে আসছিল রাজস্থানের করনি ও রাজপুত সেনা। রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন এবং শহিদ কাপুর অভিনীত এ ছবিতে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে এবং রাজস্থানের ১৩ শতাব্দির রানি পদ্মীনিকে অপমান করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করে।
শুধু তাই নয়, পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি এবং অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের মাথা কাটার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন তারা। এমনকী, নির্মাতা বানসালির পরিবারের মেয়েদেরকে ‘বেশ্যা’ বলেও সম্মোধন করা হয়।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বানসালি শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন যে, তার ছবিতে কোনো ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়নি এবং রানি পদ্মীনিকে অপমান করেও কোনো চরিত্র সাজানো হয়নি। কিন্তু ধোপে টেকেনি বানসালির সেই দাবি। শেষমেষ করনি ও রাজপুত সেনাদের প্রতিবাদের মুখে নাম পাল্টেই মুক্তি দিতে হচ্ছে তার বড় বাজেটের ‘পদ্মাবত’। আপাতত সেদিকেই নজর বলিউডের নামী এ নির্মাতার।