চমকপ্রদ তথ্য হলো- নির্ধারিত সময়েই নাকি মুক্তি পেতে পারে ‘পদ্মাবতী’। তবে ভারতে নয়, ব্রিটেনে। ইতোমধ্যে সিনেমাটিকে প্রশংসাপত্রও দিয়েছে ব্রিটিশ বোর্ড অব ফিল্ম ক্লাসিফিকেশন (বিবিএফসি)।
তবে, ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের প্রশংসাপত্র ছাড়া অন্য কোথাও সিনেমাটি মুক্তি দিতে চাইছেন না নির্মাতারা।
এ প্রসঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভায়াকম ১৮-এর এক ঘনিষ্ঠসূত্র জানান, ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশেই ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতারা।
এদিকে, ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ করছে নানা ধর্মীয় সংগঠন। নানা জায়গায় বিক্ষোভে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারাও। চলমান বিতর্কের কারণে নির্মাতারা স্বেচ্ছায় ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছেন। ১ ডিসেম্বর ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দিল্লির শাসক আলাউদ্দিন খিলজির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রানী পদ্মিনী ১৬ হাজার নারীকে নিয়ে চিতায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু ‘পদ্মাবতী’ সিনেমায় তার সে মর্যাদা ও আত্মত্যাগকে খাটো করা হয়েছে। বাস্তবে খিলজির সঙ্গে পদ্মিনীর মুখোমুখি কখনো দেখা না হলেও চলচ্চিত্রের গল্পে তাদের মধ্যে একটি স্বপ্নদৃশ্য রাখা হয়েছে।
৭০০ বছর আগের প্রেক্ষাপটে চিতোরের রানী পদ্মিনীর জীবন অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এটি। ‘পদ্মাবতী’তে নাম চরিত্রের অভিনেত্রী দীপিকার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন শহিদ কাপুর ও রণবীর সিং।