পুতুল খেলার পাঠ চুকিয়ে মন যখন একটু বড় হব হব করছে তখন থেকেই সিনেমা-সিরিয়ালের প্রতি ঝোঁক ঐশ্বর্যর। সেই টানেই অভিনয় জগতে পা রাখেন। অভিজ্ঞতা খুব বেশিদিনের নয়, তবে নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি নেই। লোকে বলে তাঁকে নাকি বলিউড তারকা আনুশকার মতো।
নামেও রয়েছে বলিউডি ছাপ। কিন্তু তিনি আনুশকাকে নকল করেন না বলেই জানালেন। কলকাতার বাংলা টেলিসিরিয়ালের পরিচিত মুখ ঐশ্বর্য বলেন, আমার পরিচিত বেশিরভাগ মানুষেরাই এই একই কথা বলে। আমাকে দেখতে নাকি আনুশকা শর্মার মতো। সত্যিই আমার তা মনে হয় না। আমি আমার নিজের মতো। আমার মাও এক এক সময় আনুশকার কোনও ছবি খবরের কাগজে দেখে বলে, ‘দেখ এখানে ওকে তোর মতো লাগছে।” আমি বলি, কী যে বলো মা!
তিনি বলেন, অনেকে আবার এটাও বলে যে আমি নাকি আনুশকাকে নকল করি। এটা আমি মানতে নারাজ। আমি সত্যিই কাউকে নকল করি না। আমি আমার মতো করে কথা বলি, আমার মতো করে চলি ফিরি। এমনকী অভিনয়টাও নিজের মতো করেই করি। আনুশকা শর্মার মতো খানিকটা দেখতে বললে খুব একটা আপত্তি নেই, কিন্তু নকল করি বললে ঘোর আপত্তি আছে।
অভিনয়ে আসা প্রসঙ্গে ঐশ্বর্য বলেন, ২০১০-এ একটা সংবাদপত্রের জার্নাল কনটেস্টে আমি ২৪ জনের মধ্যে টপ সিক্সে ছিলাম। তখনই একবার ধারাবাহিকের জন্য ডাক পাই। আমি তখন অনেকটাই ছোটো। প্ল্যান ছিল না যে তখনই শুরু করব। তাই সেই সময়ই শুরুটা হয়নি।
তিনি বলেন, আমার বাবা-মাও মেয়েকে সিরিয়ালে অভিনয় করার জন্য ছাড়তে সাহস পাননি তখন। এর কয়েকদিন পরেই এস কে মুভিজ়ের কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে ডাকেন। এরপর আর সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি। আমার প্রথম ধারাবাহিক ‘রাজলক্ষ্মী কুরুক্ষেত্রম।’
কলকাতার ধারবাহিকে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেতে যাচ্ছেন ঐশ্বর্য। দেখা যাক সামনে তার ক্যারিয়ারের সূচকটা কিভাবে এগিয়ে যায়।