ঢালিউডে লম্বা সময় দাপটের সঙ্গে একের পর এক সুপারহিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন শাবনূর। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার পর একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হন। এরপর আর নতুন কাজে তেমন দেখা যায়নি তাকে। তবে দীর্ঘদিন পর গত সপ্তাহে তার অভিনীত ‘পাগল মানুষ’ নামের একটি ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এরই মধ্যে অনেকে জেনে গেছেন, এ ছবির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে।
কিন্তু পরিচালক এম এম সরকারের মৃত্যুর কারণে ছবির নির্মাণ কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এরপর বদিউল আলম খোকনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সময় নিয়ে ছবিটির নির্মাণ শেষ হয়। ২০১২ সালের শাবনূর আর ২০১৭ সালের শাবনূরের মধ্যে নিশ্চয় পার্থক্য আছে। ছবিটি সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছেন কি শাবনূর? উত্তরে মানবজমিনকে তিনি বলেন- না, সিনেমা হলে এখনো ছবিটি দেখতে যেতে পারিনি। তবে কয়েকদিন পরই যাব বলে মনস্থির করেছি। এত ঝড়ের পর ছবিটি যে শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে সেটাই বড় বিষয়। আর এ ছবিতে আমাকে মোটা লাগাটাই স্বাভাবিক।
কারণ সে সময়ে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলাম। তবে অনেকেই ছবিটি দেখছে এটা খবর পেয়েছি। এ ছবিতে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নতুন অভিনেতা শাহের খান। কেমন করেছেন শাহের? শাবনূরের জবাব, নতুনদের সঙ্গে আগেও আমি কাজ করেছি। ভালো নাকি খারাপ হয়েছে, সেটা দর্শক ভালো বলতে পারবেন। তবে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি বেশ চেষ্টা করেছে শাহের। আর যেহেতু এখনো সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখা হয়নি তাই এর বেশি মন্তব্য করতে চাই না। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে শাবনূর নতুন ছবি নিয়ে ফিরবেন। সেটা কবে জানতে চাইলে এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেন, ফিরবো। খুব শিগগিরই কাজে ফেরার ইচ্ছে আছে।
নিজের শরীরের ওজন কমানোর চেষ্টা করছি। কারণ মোটা হয়ে দর্শকের মন আর ভাঙতে চাই না। (হা হা হা )...। এই হাসি প্রমাণ করে দেয় যে শাবনূর নিজেও বুঝতে পেরেছেন তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি মুটিয়ে গেছেন। আর তাই নিজের ওজন কমিয়ে দর্শকের সামনে নতুন লুকে হাজির হতে চান এ অভিনেত্রী। সেভাবেই বর্তমানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের নতুন ছবি ‘এত প্রেম এত মায়া’-তে তাকে দেখা যাবে বলে জানালেন শাবনূর। এ ছবির জন্য শ্রী প্রীতমের সুর সংগীতে করা একটি গানে প্লে-ব্যাকও করেছেন তিনি। তাই পরিচালক ধরেই নিয়েছেন যে, খুব শিগগিরই শুটিং শুরু করবেন শাবনূর। কবে থেকে শুরু হতে পারে এই শুটিং?
এর জবাবে শাবনূর বলেন, আমি কিছুটা সময় নিয়েই কাজে ফিরতে চাই। এটা আগেও বলেছি। কাজ ছাড়া আমি থাকতে চাই না। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করছি। যদি সফল হই, তাহলে খুব শিগগিরই ক্যামেরার সামনে আবারো হাজির হবো। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের মাঝে শাবনূরের আনন্দ, তার প্রাণ। তাই বেশিদিন ক্যামেরার বাইরে থাকতে চান না তিনি। অভিনয়ের বাইরে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় অবস্থিত সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দু’জন কর্ণধারের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এ অভিনেত্রী। আরেকজন তারই ছোট বোন ঝুমুর।
স্কুল পরিচালনা নিয়েও শাবনূরের রয়েছে যথেষ্ট ব্যস্ততা। বললেন, সারা দিন কোনো কাজ নেই বললে ভুল হবে। অনেক কাজই আমাকে করতে হয়। অবশ্য এটা অনেকে জানেও না। তবে নিজের অবস্থান নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট। আল্লাহর রহমতে চলচ্চিত্রে এখনো যথেষ্ট সম্মান নিয়েই আছি আমি। আর সবার সহযোগিতায় আমি এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন শাবনূর। আর ফিরলে তার ছবির মাধ্যমেই তিনি নতুনভাবে রূপালী পর্দায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।