গুণী নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে চমকে দেন মারিয়া। কেননা আজ থেকে তিন বছর আগে যখন তিনি নায়িকা হয়ে এলেন তখন মারিয়া অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন।
‘অবলা নারী : ওয়াও বেবি ওয়াও’ ছবিতে চিত্রনায়িকা হিসেবে অভিষিক্ত হন তিনি। ২০১৪ সালে ছবিতে নাম লেখা কিন্তু সেই ছবি এখনো মুক্তি পায়নি। তখন পড়তেন লেফটেন্যান্ট আনোয়ারা গার্লস স্কুল ও কলেজে। এখন পড়েন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। অবশ্য সেই ছবির মুক্তি পেতে খুব বেশি দেরি নেই। শুধু দু’টো গানের শুটিং বাকি আছে- এমনটাই জানালেন মারিয়া।
আপাতত লাইট,ক্যামেরা, অ্যাকশন থেকে দূরে আছেন। কেন? এ বছরই ভর্তি হয়েছেন কলেজে। পড়াশোনার ব্যস্ততা বেড়ে গেছে শতগুণ।
মারিয়া বলেন, ‘স্কুলে যখন ছিলাম তখন মনে হয়েছিল কলেজে উঠলে হয়তো অনেক সময় পাবো, অনেক স্বাধীনতা। কিন্তু এখন দেখছি পাহাড় সমান পড়াশোনা। ‘
মারিয়া শুধু সিনেমাতেই নন, কাজ করেছেন বিভিন্ন হাউজের ফটোশুটে, কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনচিত্রে। এখন পড়াশোনার ফাঁকে সিনেমার দুই গানের শুটিং শেষ করতে চান। মারিয়া বলেন, ‘সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস। বাসায় আসতে আসতে বিকেল ৩ টা। খেয়ে রেস্ট নিতেই বাসায় আসেন প্রাইভেট টিউটর। এর মাঝেই শেষ হয়ে যায় পুরোদিন। ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার শেষে একটা বিরতি থাকবে তখন ছবির শুটিং শেষ করে ফেলবো। ‘
বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে পড়ছেন মারিয়া। পেতে চান গোল্ডেন এ প্লাস। এসএসসিতে পেয়েছেন এ প্লাস। কিন্তু গোল্ডেন না পাওয়ায় মনে একটু অপূর্ণতা রয়ে গেছে। এবার সেই অপূর্ণতা ঘুঁচাতে চান। মারিয়া বলেন, ‘বাণিজ্য বিভাগেও পড়াশোনার চাপ যে এতোবেশি তা বলে বোঝাতে পারবো না। কাগজের পর কাগজ হিসাব বিজ্ঞানের অংক কষে যেতে হয়। এখন আবার আইসিটি যুক্ত হয়েছে। ‘
মারিয়াকে পুরোপুরি অভিনেত্রী হিসেবে কবে থেকে পাওয়া যাবে? মারিয়া বলেন, ‘আমার ইন্টার শেষ হলেই পুরোদমে কাজ শুরু করবো। আমি ইন্ডাস্ট্রিতে পাকাপোক্ত আসন গড়তে চাই। এখন শুধুই পড়াশোনা, এর বাইরে সব অফ। তবে ফিরবো সেভাবেই। ‘
ইন্ডাস্ট্রিতে কাকে অনুসরণ করেন? এ বিষয়ে মারিয়া বলেন, ‘আমার প্রিয় নায়িকা শাবনূর। উনার প্রতিটি ছবি আমার খুব প্রিয়। উনার অভিনয় আমার ভালো লাগে। আমি শাবনূরের মতো নায়িকা হতে চাই। শাবনূর আমার আইডল। সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। ‘