অপুকে তালাকনামা পাঠালেন শাকিব

অপুকে তালাকনামা পাঠালেন শাকিব

২২ নভেম্বর অপুর ঠিকানায় পাঠানো তালাকনামায় শাকিব খান এ কারণ দেখিয়েছেন বলে জানান তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম।

সোমবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে অপু বিশ্বাস শাকিব খানকে বিয়ে করেছিলেন। কথা ছিল তিনি মুসলিম রীতিনীতি মেনে চলবেন ও গৃহিনী হয়ে থাকবেন। কিন্তু অপু বিশ্বাস সে কথা রাখেননি।”

তালাকনামায় শাকিব অভিযোগ তোলেন, পুত্রসন্তান জয়কে বাড়িতে গৃহকর্মীর সঙ্গে তালাবন্ধ রেখে ‘ছেলেবন্ধুকে নিয়ে’ দেশের বাইরে যান অপু।

গতমাসের মাঝামাঝিতে ওই ঘটনার পর একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন ।

শাকিবের তালাকের নোটিসে বলা হয়েছে, ছেলেকে তালাবন্ধ করে রাখার খবর শুনেই অপুর বাসায় ছুটে যান তিনি। কিন্তু সন্তানকে উদ্ধার করতে না পেরে পরে থানায় জিডি করেন।

তবে অপু বিশ্বাস বিষয়টি অস্বীকার করে সে সময় গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি চিকিৎসা করাতে কলকাতায় গিয়েছিলেন। ছেলে জয়কে কাজের মেয়ের কাছে নয়, বড়বোনের কাছে রেখে গিয়েছিলেন।

ছেলেকে ভারতে না নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিলেন, কলকাতার শীতের কারণেই ছেলেকে রেখে গিয়েছিলেন।

আইনজীবী বলেন, এসব ঘটনার কারণেই শাকিব খান অপুকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গত ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসের ঢাকার বাসা ও বগুড়ার ঠিকানায় রেজিস্ট্রি করা হলফনামা আকারে তালাকনামা পাঠানো হয়।

পরবর্তী প্রক্রিয়া জানতে চাইলে আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “নিয়ম হলো ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সালিশি পরিষদ দুজনকে ডেকে নিয়ে বসবে যেন সংসারটি ভেঙে না যায়। যদি শাকিব খান তারপরও মনে করেন এটাই তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, তবে ৯০ দিন পর তালাকনামা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়ে যাবে।”

সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “ছেলের জন্মদিনে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিলেন শাকিব খান। এছাড়া প্রতিমাসে ছেলের ভরণ-পোষণ বাবদ কমপক্ষে তিন লাখ টাকা দেন।”

দেন মোহরের সাত লাখ টাকা অপু বিশ্বাস চাইলে যে কোনো সময় দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান এই আইনজীবী।

২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে শাকিব-অপুর জুটি গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। গতবছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তাদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সেসব তারা আড়ালেই রেখেছিলেন।

অপু গত এপ্রিলে সন্তান কোলে টেলিভিশন লাইভে এসে সেই খবর প্রকাশ করলে বিষয়টি নাটকীয়তার জন্ম দেয়। শাকিব খান এ নিয়ে শুরুতে বিভিন্ন রকম কথা বললেও পরে তাদের মধ্যে মিটমাট হয়ে যায়। তার মাস দুয়েকের ব্যবধানে দু’জনের দূরত্ব বাড়তে থাকে। পুত্র জয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে শাকিব খানের ছবি না থাকা ও অনুষ্ঠানে শাকিবের অনুপস্থিতির কারণে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়।