ঘরের মাঠে ২০০৮ সালের পর এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজ। ১০ বছর পর অনুষ্ঠানরত এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিতই হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে হারিয়েই ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলেন মাশরাফি-সাকিবরা। প্রশ্ন হতে পারে, কীভাবে?
এই সিরিজে ম্যাচ জিতলে জয়ী দল পাচ্ছে ৪ পয়েন্ট করে। বোনাস পেলে যোগ হয় আরও ১ পয়েন্ট। প্রথম ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। বোনাস পয়েন্টটাও পাওয়া গিয়েছিল। আজও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে বোনাস পয়েন্ট যোগ হয়েছে বাংলাদেশের মোট পয়েন্টের সঙ্গে। দুই ম্যাচে জয়ের পয়েন্ট, সেই সঙ্গে বোনাস—বাংলাদেশের মোট পয়েন্ট এখন ১০। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে-দুই দলেরই আর দুটি করে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। জিম্বাবুয়ে যদি দুই ম্যাচ জেতে, তাহলে অন্তত এক ম্যাচ হারতেই হবে শ্রীলঙ্কাকে, কারণ একটা ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। শ্রীলঙ্কারও অবস্থা একই। একই অঙ্ক কষতে হচ্ছে তাদের।
সিরিজে দুটি করে খেলা বাকি তিন দলেরই। লঙ্কানরা পরের ২টি ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে সর্বোচ্চ ১০ (বোনাসসহ)। বাংলাদেশ পরের দুটি হারলে ১০ পয়েন্ট কিন্তু থাকছেই। জিম্বাবুয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারানোয় তাদের পয়েন্ট ৪। তারা সে ম্যাচে কোনো বোনাস পায়নি। তারা যদি পরের দুটি ম্যাচ জেতে (বোনাস নিয়ে), তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। দুটি ম্যাচ জিতলে শ্রীলঙ্কাকে অবশ্যই হারতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিতই।
শ্রীলঙ্কা পরের দুই ম্যাচে বোনাস পয়েন্টসহ জিতলে তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হবে ১০। জিম্বাবুয়ে তখন বাংলাদেশকে বোনাসসহ হারালেও ৯ পয়েন্টের বেশি পাবে না। সে ক্ষেত্রে ফাইনালে চলে যাবে শ্রীলঙ্কাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২০/৭ (তামিম ৮৪, এনামুল ৩৫, সাকিব ৬৭, মুশফিক ৬২, মাহমুদউল্লাহ ২৪, সাব্বির ২৪*, মাশরাফি ৬, নাসির ০, সাইফ ৬*; লাকমল ০/৬০, প্রদিপ ২/৬৬, দনঞ্জয়া ১/৪০, থিসারা ৩/৬০, গুনারত্নে ১/৩৮, হাসারাঙ্গা ০/৫১)
শ্রীলঙ্কা: ৩২.২ ওভারে ১৫৭ (কুসল পেরেরা ১, থারাঙ্গা ২৫, মেন্ডিস ১৯, ডিকভেলা ১৬, চান্দিমাল ২৮, গুনারত্নে ১৬, থিসারা ২৯, হাসারাঙ্গা ০, ১৪, লাকমল ১, প্রদিপ ০*; নাসির ১/২০, মাশরাফি ২/৩০, রুবেল ২/২০, মুস্তাফিজ ১/২০, সাকিব ৩/৪৭, সাইফ ০/১৪)।
ফল: বাংলাদেশ ১৬৩ রানে জয়ী