দীর্ঘদিন প্রেম করার পর ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন হৃতিক রোশন ও সুজান খান। কিন্তু খুব বেশি বছর টিকেনি তাদের সংসার। ২০১৩ সালে বিয়ের ১৩ তম বিবাহবার্ষিকীর ঠিক এক সপ্তাহ আগে ১৩ ডিসেম্বর হৃতিক ও সুজান বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। শেষ পর্যন্ত আদালতে তাদের চূড়ান্ত বিচ্ছেদ হয় ২০১৪ সালে। তাদের সংসারে ছিল দুই পুত্রসন্তান।
চলচ্চিত্রে কাজের সুবাদে একাধিক নায়িকার সঙ্গে হৃতিকের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। এর থেকেই হৃতিক-সুজানের সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলতে শুরু করে। পরে প্রকাশ্যে আসে, বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে হৃতিকের পরকীয়ার আগুনেই পুড়েছে সংসার। কিন্তু কঙ্গনার সঙ্গে সেই প্রেমও গড়ায়নি বিয়ে পর্যন্ত, গত বছরের আগেই ভেঙে যায় সম্পর্ক। এরপর একা হয়ে পড়েন এই অভিনেতা। আর একাকীত্বের সেসময়টায় পাশে পান সাবেক স্ত্রী সুজানকে। ডিভোর্সের পরও তাদের বন্ধুত্ব বদলায়নি এতটুকুও। দুই ছেলেকে নিয়ে হঠাৎ ডিনারের প্ল্যান, সিনেমা দেখা বা বিদেশ ভ্রমণ সবই চলছে নিয়মমাফিক।
এই কয়েক বছরে হৃতিক যতবার বিপদে পড়েছেন, ততবারই পাশে ছিলেন সুজান। এমনকি কোনো সিনেমা ফ্লপ হলেও পাশে থেকে উৎসাহ যুগিয়েছেন সাবেক স্ত্রী। হৃতিক-কঙ্গনার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে যখন গণমাধ্যমে নানা রকম বিতর্ক চলছিল, তখনও হৃতিকের পক্ষেই ছিলেন সুজান খান। তখনও তিনি বলেছিলেন, হৃতিকের মতো পরিষ্কার হৃদয়ের মানুষই হয় না।
কিছুদিন আগে হৃতিকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই সাবেক স্ত্রী লিখেছেন, হৃতিক সবসময় তার জীবনের সূর্যকিরণ। আর এ সব ব্যাপারগুলোই তাদের আবারও এক হওয়ার কথাবার্তাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই প্রাক্তন দম্পতির এক বন্ধু সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের সম্পর্কের মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে সমস্যা ছিল, সেগুলো তারা বুঝতে পেরেছে। একটু সময় দিন। আবার তাদের একসঙ্গে দেখতে পাবেন।’
এ প্রসঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, ‘হৃতিক-সুজানার সম্পর্কের মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে সমস্যা ছিলো সেগুলো তারা বুঝতে পেরেছে। একটু সময় দিন। আপনারা আবার তাদের একসঙ্গে দেখতে পাবেন।’