গঠিত হয়েছে যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি। কমিটিতে রাখা হয়েছে চারজন আমলা ও চারজন চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। যৌথ প্রযোজনার সঠিক নিয়ম মানা হয়েছে কি না সেটি যাচাই বাছাই করবে এই কমিটি।
নতুন গঠিত যৌথ প্রযোজনার ছবি প্রিভিউ কমিটির সভাপতি হয়েছেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন আর সদস্যসচিব হিসেবে আছেন বিএফডিসি পরিচালক (উৎপাদন) স্বপন কোমার ঘোষ। সদস্য হিসেবে আছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের উপসচিব শাহিন আরা বেগম। প্রযোজক ও পরিবেশনা সমিতির সরকারি প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়। সদস্য হিসেবে আরো আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
কমিটি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘আমাদের প্রিভিউ কমিটি এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমরা যৌথ প্রযোজনার ছবিগুলো প্রিভিউ করা শুরু করব।’
এর আগে ‘বস-টু’ ছবিতে যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মানা হয়নি, তারপরও প্রিভিউ কমিটির পক্ষ থেকে ছবিটিকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এবারও এমন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে গুলজার বলেন, ‘আমাদের কমিটিতে সবকিছু বিচার করে, আলাদা আলাদা ভাবে মতামত দেওয়া হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয় সভায়। এবারের কমিটিতে আমরা চলচ্চিত্রের লোকজন সমান সমান, যে কারণে এখন অনিয়ম করে কোনো ছবি বাংলাদেশে মুক্তি পাবে না।’
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রে অনিয়ম হলে ছাড় পাবে না এক চুলও । এবারই প্রথমবার শিল্পী সমিতি থেকে এই কমিটিতে একজনকে রাখা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সব শিল্পীকে চিনি, যে কাউকে শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এখন আর কেউ ছবি পাস করাতে পারবে না। কোনো ধরনের কোনো অনিয়ম এখানে স্থান পাবে না। যদি কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে অবশ্যই সেই ছবি মুক্তি পাবে না।’
গুলজার আরো বলেন, ‘এখানে আমরা যারা কমিটিতে আছি, আমাদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া আছে, আমরা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নতি ও বিদেশি ছবির আগ্রাসন থেকে বাঁচার জন্য অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করছি, যে কারণে এখন কোনো অনিয়ম হলে তার জবাবও হবে অনেক কঠোর।’