ওয়েবে খবর বা অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে যারা লেখা প্রকাশ করেন তাদেরকে সবচেয়ে বেশি পাঠক পাইয়ে দিত গুগল। পরে ফেসবুক এসে প্রকাশকদের জন্য গুগলের চেয়ে বেশি পাঠক জোগাড় করে দেয়া শুরু করে। এ বছর একজন লেখক বা প্রকাশকের লেখা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার প্রতিযোগিতায় আবার ফেসবুককে ছাড়িয়ে গেল গুগল।
পার্স ডট এলওয়াই নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে ২০১৭ সালে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে বিভিন্ন সাইটের প্রকাশকেরা সবচেয়ে বেশি পাঠক পেয়েছেন।
বছরের শুরু থেকে এই চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন সাইটের মোট পাঠকের ৪০% ফেসবুকে ওইসব সাইটের কোনো লিংকে ক্লিক করে সাইটগুলোতে যেত। ওই সময় বিভিন্ন সাইটের ভিজিটরদের ৩৪% গুগলের সার্চ রেজাল্ট-এ ক্লিক করে ওইসব সাইটে যেত।
পার্স-এর তথ্য অনুযায়ী, বছরের শেষে এসে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সাইট গুগল থেকে ৪৪% ভিজিটর পাচ্ছে। অন্যদিকে ফেসবুক থেকে বিভিন্ন সাইটে যাওয়া ভিজিটরের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬%-এ।
এর কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রথমত, ফেসবুক গত বছর থেকে তাদের সাইটে ইউজারদের কাছে প্রকাশকদের পোস্টের চেয়ে ইউজারদের বন্ধুবান্ধবদের পোস্ট বেশি দেখানো শুরু করেছে।
ফেসবুকের ‘ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’ প্রকাশকদের বিভিন্ন লেখা বা পোস্ট মূল সাইটে না গিয়ে ফেসবুকেই পড়ার সুবিধা চালু করেছিল। এর ফলে বিভিন্ন সাইটে পাঠকের সংখ্যা বাড়বে মনে করা হলেও এখন এই অপশনটিকে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বিশেষ কার্যকরী বলে মনে করছে না অনেকেই।
অপর দিকে, গুগল এক্সেলারেটেড মোবাইল পেজ (এএমপি) সুবিধা ক্রমেই আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রকাশকেরা এএমপি ব্যবহার করে সরাসরি গুগলের সার্ভারে তাদের লেখা প্রকাশ করতে পারেন। এএমপি স্টোরিগুলো প্রধানত খবরের সাইটগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর বা ফিচার। মোবাইলে গুগল সার্চ দিলে সার্চ রেজাল্টের সবার উপরে এগুলো ‘টপ স্টোরিজ’ হিসেবে দেখায়। সেখান থেকে ক্লিক করে বিভিন্ন সাইটে গিয়ে খবর পড়া প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্ভবত একারনে, ফেসবুকের চেয়ে গুগল থেকে বিভিন্ন সাইটে যাওয়া পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।