অ্যাপলের স্মার্টফোন হিসেবে পরিচিত আইফোন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আইফোন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়।
একই মডেলের আইফোন বিভিন্ন দেশে পাওয়া গেলেও একটি বড় পার্থক্য কিন্তু দেখা যায়। সেটি হচ্ছে, দাম।
একটি আইফোনের জন্য আপনি কত খরচ করবেন, সেটা নির্ভর করে আপনি কোন দেশ থেকে কিনছেন তার ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল তাদের অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে আইফোন ৬এস বিক্রয় করছে ৬৪৯ ডলারে। কিন্তু অন্যান্য দেশে অ্যাপলের অনলাইন স্টোরে আইফোন ৬এস বিক্রয় হচ্ছে (দাম ইউএস ডলারে কনর্ভাট করলে) ৬৩৬ ডলার থেকে শুরু করে ১০২৯ ডলারের মধ্যে।
আইফোন ৬এস-এর দাম সবচেয়ে বেশি রাখা হচ্ছে তুরস্কে, একটি আইফোন ৬এস কেনার জন্য তুরস্কে খরচ করতে হয় ১০০০ ডলারের বেশি অর্থ। অন্যদিকে কানাডায় সবচেয়ে কম মূল্যে মিলছে আইফোন ৬এস, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম মূল্য।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একই মুদ্রা হিসেবে ইউরোর প্রচলন রয়েছে, অথচ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আইফোন ৬এস এর দামের তারতম্যে রয়েছে। ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন দেশে একই কমন মুদ্রা প্রচলন থাকার পরও, সেখানে দামের তারতম্যের এই কারণ হচ্ছে দেশে ভেদে ইমপোর্ট ট্যাক্স এবং কর, যা দামে প্রভাব ফেলে।
আইফোন ৬এস ইটালিতে বিক্রয় হচ্ছে ৮৪২.২২ ডলারে, অন্যদিকে ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডে ৮০৯.৭৮ ডলারে। লুক্সেমবার্গে ৭৮৩.৪১ ডলারে।
একই পণ্যে দামের এই পার্থক্য অ্যাপলের নতুন কিছু নয়। প্রতিষ্ঠানটি অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন দেশে দামের তারতম্য নির্ধারণ করে আসছে, ক্রেতা কোন দেশে বাস করে এবং সেখানকার মুদ্রার মানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার মানের ভিত্তিতে।
বিশ্বের যে পাঁচটি দেশে সবচেয়ে কম দামে মিলছে আইফোন ৬এস:
* কানাডা: ৬৩৬.১৮ ডলার।
* সংযুক্ত আরব আমিরাত: ৭০৭.৬৪ ডলার।
* হংকং: ৭১৭.৫২ ডলার।
* রাশিয়া: ৭৩০.২৭ ডলার।
* তাইওয়ান: ৭৩১.১৭ ডলার।
বিশ্বের যে পাঁচটি দেশে আইফোন ৬এস-এর দাম সবচেয়ে বেশি:
* চেক রিপাবলিক: ৮৪৭.৮৪ ডলার।।
* হাংগেরি: ৮৫৮.০২ ডলার।
* সুইডেন: ৮৭৩.৬৩ ডলার।
* ব্রাজিল: ৯৭৩.৬১ ডলার।
* তুরস্ক: ১০২৯.৪১ ডলার।