এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের পর দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার ছিল বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা।
জানা গেছে, পরীক্ষা শুরুর পৌনে এক ঘণ্টা আগেই প্রশ্ন ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফাঁস হওয়া সেই প্রশ্ন মিলে যাওয়ার পর কর্মকর্তারা বরাবরের মতোই বললেন, বিষয়টি তারা দেখবেন।
গত বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই ১০০ ভাগ মেলার নিশ্চয়তা দিয়ে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁস করার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ফেসবুক গ্রুপে।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল সোয়া ৯টার মধ্যেই উত্তরসহ ‘খ’ সেট বহুনির্বাচনি প্রশ্ন এসব গ্রুপে ফাঁস করা হলে তা ভাইরাল হয়ে যায় এই লিংকে- ‘SSC Question Out', 'PSC_JSC_SSC_HSC_Degree out question bank.(R)', 'SSC Question OuT 100% Common All Board & Rezult Change 2018+19+20 All BD', 'PSC JSC SSC HSC All Exam 100% Common Suggestion & Out Questions' ইত্যাদি ফেসবুক গ্রুপে।
এ ছাড়া ফেসবুক মেসেঞ্জারে সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে ‘হিমুর ছায়া’ নামের একটি আইডি থেকেও উত্তরসহ ‘খ’ সেটের প্রশ্ন ইমেজ আকারে পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হুবহু মিলে গেছে।
এদিকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, লাখ লাখ সৎ মানুষের মধ্যে যদি একজনও অসৎ হন, তা হলে সবার সততাকে ওই একজনই প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন। এ কারণে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি না, প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব। যদি প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হয়, তা হলে সেটা হবে সৌভাগ্যের ব্যাপার।
প্রশ্নফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে বিরাট অঙ্কের টাকা পুরস্কার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও জানান শিক্ষা সচিব। তিনি বলেন, আমরা হয়তো একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীকে যদি কেউ ধরিয়ে দিতে পারেন, তা হলে এর বিনিময়ে আমরা বিরাট অঙ্কের পুরস্কার দিতে পারি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। রবিবার অফিস খুললে হয়তো আমরা এমন কিছু একটা করব।
গতকালও প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার বলেন, আমরা এখনো কোনো তথ্যপ্রমাণ পাইনি। যেহেতু আপনি বলছেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব কী হয়েছে আসলে। নিউজে দেওয়া তথ্য আমরা মিলিয়ে দেখব।
বৃহস্পতিবার সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। প্রথম দিনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফঁাঁস হয়েছিল এবং সে প্রশ্নেই অনুষ্ঠিত হয় পরীক্ষা।