প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ (বহু নির্বাচনী) আর থাকছে না। ফলে আবারো ফিরে আসছে শতভাগ লিখিত পরীক্ষা। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরে। এ বিষয়টি নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করবে মন্ত্রণালয়। এর পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
চলমান এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচকভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত ‘জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায়’ এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এমসিকিউ নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ২০১৫ সালে বলেছিলাম ২০১৭ থেকে বন্ধ করা হবে এমসিকিউ । ১০ নম্বর কমানো হবে। এখন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকদের নিয়ে সেমিনার করে সিদ্ধান্ত নেবো।
প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কে শিক্ষকরা মনে করেন, এমসিকিউ প্রশ্ন বাদ দিলে রোধ করা সম্ভব এই পন্থা। এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁসের জন্য দায়ী। এছাড়া অনেকেই এমসিকিউ বাতিলের পক্ষে মতামত ব্যাক্ত করেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্ন কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হয়। চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নানা উদ্দ্যোগের পরও বাংলা প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁস হয়। যে কারণে এ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।