সদ্য সমাপ্ত ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এদের মধ্যে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন পেয়েছে শ্রেষ্ঠ ভ্যাট দাতার সম্মাননা।
সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ডিআইটিএফ-১৮ এ সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ‘ভ্যাট সম্মাণনা সনদ প্রদান’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এনবিআর। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সেরা ১০ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাণনা সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
ওয়ালটনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম এর হাতে শ্রেষ্ঠ ভ্যাট দাতার সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন অর্থমন্ত্রী।
সম্মাননা প্রাপ্তিতে এসএম মাহবুবুল আলম বলেন, ভ্যাট প্রদান করে মূলতঃ ক্রেতা। যা কিনা সংশ্লিষ্ট পণ্যের উৎপাদক বা বিক্রেতারা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে থাকে। তাই, ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভ্যাট যথাযথ নিয়ম-নীতি মেনে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, ক্রেতারা ভালোবেসে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন পণ্য কিনেছেন বলেই মেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানে সক্ষম হয়েছি আমরা। তাই আজকের এই কৃত্বিতের বড় অংশীদার হচ্ছে মেলায় আগত ক্রেতাগণ। তাদের পাশাপাশি মেলায় ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে সম্মাণিত করায় এনবিআর, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি জানান, এই প্রাপ্তি আমাদের দায়িত্বকে আরো বাড়িয়ে দিলো, এর ফলে ওয়ালটনকে আগামী দিনে আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে অনুপ্রাণিত করবে।
জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন সর্বমোট ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ২৩০ টাকা ভ্যাট প্রদান করে। উল্লেখ্য, গত বছরের মেলাতেও ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা ভ্যাট প্রদান করে শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতার স্বীকৃতি পেয়েছিল ওয়ালটন। এবার নিয়ে গত ১৩ বছর ধরে দেশের সর্ববৃহৎ এই মেলায় সবচেয়ে বেশি ভ্যাট দেয়ার স্বীকৃতি পেয়ে আসছে ওয়ালটন। আর পুরস্কার প্রচলনের শুরু থেকেই শ্রেষ্ঠ ভ্যাট প্রদানকারীর স্বাকৃতি পেয়ে আসছে দেশীয় এই প্রতিষ্ঠানটি।
মেলায় সেরা ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড দ্বিতীয়, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড তৃতীয়, সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড চতুর্থ, আরএফএল প্লাস্টিক লিমিটেড পঞ্চম, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড ষষ্ঠ, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড সপ্তম, আকতার ম্যাট্রাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড অষ্টম, রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নবম ও এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড দশম স্থান অধিকার করেছে।