প্রথম স্তর
এই স্তরে একজন নতুন পালক নতুন ভাবে কবুতর পালন শুরু করেন । এই অবস্থাকে কঠিন অবস্থা বলা হয় । কারন এই পর্যায়ে একজন নতুন খামারি বেশি ঠকে থাকেন । এই অবস্থাই যে কবুতর দেখা হয় সেটাই ভাল লাগে । আর তাই ফাটা বেজাতের, মিস ক্রস, যেমন ইচ্ছে তেমন কবুতর সংগ্রহ করে খামার ভরিয়ে তুলেন । যে কবুতরের দাম ৫০০ টাকা তা ১০০০ টাকা দিয়ে এভাবে দুই গুন ৩ গুন দামে কবুতর কেনেন । আর কিছু অসাধু ব্যাবসায়ি ও খামারি এই সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকেন । এই পর্যায় এর পালক তার কেনা সব কবুতরই কিছু দিন পরে হারাতে বসেন । কারন তিনি জেনে না জেনে অসুস্থ কবুতর যথাযথ জ্ঞানের অভাবে সাধারন চিকিৎসা দিতে বার্থ হন । ফলে সুস্থ কবুতর অসুস্থ ও পরে অসুস্থ কবুতর মারা যায় । তাই এই স্তরের পালকদের প্রতি আমার অনুরধ থাকবে, আগে কবুতর পালন শিখতে হবে । আর এর জন্য প্রথমে লক্ষা,সিরাজি, হোমার,এই ধরনের কবুতর পালন করে হাত পাকাতে হবে । কারন সৌখিন কবুতর দেশি/গিরিবাজ কবুতরের মত না এগুলোর রোগবালাই একটু বেশিই হয় ।
দ্বিতীয় স্তর
এই পর্যায়ে একজন খামারি কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে । আর তার ভুলের কারনে নিজের প্রতি ও তাকে যারা ঠকিয়েছে তাদের প্রতি একটু বিরিক্ত বোধ করে । অনেকেই পালন ছেড়েই দেন । আর অনেকেই পুরান ভুল সুধরানর জন্য ফাটা বা বেজাতের কবুতর গুলোকে বিক্রি করেই হোক বা দান করেই হোক বা জবাই করেই হোক খামার থেকে এক প্রকার তরিঘরি করে, আবার নতুন করে তৈরি করার পরিকল্পনা করে থাকে । এই পর্যায়ে এই স্তরের পালক রিং ও আমদানিকৃত কবুতরের প্রতি ঝুকে বেশি । যা তাকে আরেকটি ভুল পথে পা বাড়ায় । আর যেহেতু আগে অনেক দাম দিয়ে ফেলেছেন তাই এই পর্যায় এ কম দামে ভাল কবুতর কিনতে যান । ফলে দ্বিতীয় বারের মত ভুল করে বসেন । আর যেহেতু এই স্তরের খামারি রিং সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না । আর এই সুযোগে সেই সকল ব্যাবসায়ি ও খামারি নিজের সরবরাহকৃত রিং, সেই অলিক রিং বলে চালিয়ে দেয় । আর আমদানিকৃত কবুতর কিনে ১ বছরেও ডিম না পেয়ে হতাশায় ডুবে যান । তখন খামার করবে না ছাড়বেন, এই ধরের দোটানায় থাকেন । আমার এই পর্যায়ের খামারির প্রতি অনুরোধ, রিং বা আমদানিকৃত কবুতরের পিছনে না ছুটে । ভাল মারকিং, ও জাতের কবুতর সংগ্রহ করুন । দাম যাচাই করে । এই স্তরের খামারি যেহেতু কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে তাই তাদের একটু ভাল জাতের ও দামের কবুতর পালনে যেতে পারেন । যেমনঃ পটার, স্ত্রেসার, কিং, জ্যাকবিন, বিউটি হুমার, হলুদ লক্ষা, হেলমেট, নান ইত্যাদি ।
বিস্তারিত নিচের ভিডিও তে দেখুন ।