পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের বকাবকিতে অভিমান করে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন রাজধানী মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষার্থী। শনিবার সন্ধ্যায় মুহূর্তে বাসার শয়নকক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ওই শিক্ষার্থীর নাম জান্নাতুন ওয়াদিয়া মিতু। তিনি ব্যাংক কলোনীর অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মেয়ে। মিতু রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) বিডিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষাথী ছিলেন। তাঁর বাবা মতিউর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালুগ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া তিনি বালুগ্রাম আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত। তবে মেয়ের লেখাপড়ার জন্য রাজশাহী মহানগরীর বহরমপুর ব্যাংক কলোনী এলাকায় স্বপরিবারে ভাড়া থাকেন তিনি।
গতকাল দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ওয়াদিয়া মিতু আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে পুলিশকে জানান মতিউর রহমান। পরিবারের সদস্যদের বরাদ দিয়ে ওসি আরো জানান, শনিবার মিতুর তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বলে সে বাড়িতে জানায়। এরপর বাড়ির লোকজন তাকে বকাবকি করে। এ সময় সে নিজ শয়নকক্ষে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর দীর্ঘ সময় তার সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিতুর লাশ ঝুলতে দেখে। নিজের ওড়নার সাহায্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাস দেয় বলেও জানান ওসি।
এ ঘটনায় নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।