পুত্র সন্তান হবে কোন খাবার খেলে? জানুন

পুত্র সন্তান হবে কোন খাবার খেলে? জানুন

বিজ্ঞান থেমে নেই। প্রতিনিয়ত সে চেষ্টা চালাচ্ছে নানা অজানা বিষয়েকে জেনে আমাদের সামনে তুলে ধরার। আর সেই কাজটি করতে গিয়ে এমন কিছু বিষয় জানা গেছে যা বাস্তবিকই চমকপ্রদ।

একাধিক গবেষণার পর জানা গেছে বিশেষ কিছু খাবারের সঙ্গে ছেলে সন্তান হওয়ার সরাসরি যোগ রেয়েছে।

অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় এই খাবারগুলি খেয়ে গেলে বিজ্ঞান বলছে ছেলে সন্তান হবেই হবে! এই খাবারগুলি শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন আনে, যা ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িতে দেয়।

তাই বলে এগুলিকে “ম্যাজিক পিল” ভেবে নিলে ভুল করবেন। এই সব খাবার খাবেন আর ৯ মাস পরে ছেলে সন্তানের জন্ম হবে- এমনটা ভেবে নেবেন না। তবে গবষণায় যেহেতু প্রমাণিত হয়েছে, তাই কিছু না ভাল ফলই যে মিলবে তা হলফ করে বলতে পারি।

তাহলে আর অপেক্ষা কেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেইসব খাবার সম্পর্কে, যেগুলি খেলে ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়।

 

১. কলা: এতে উপস্থিত পটাশিয়াম ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। আসলে এই খনিজটি মায়ের শরীরে স্পার্ম যাতে বেশি সময় জীবিত থাকতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখে। যে কারণে অনেকে দাবি করে থাকেন যে কলা খাওয়ার সঙ্গে ছেলে সন্তান হওয়ার গভীর যোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করার পর ভাবি মাকে দিনে কমকরে দুটি কলা খেতে হবে। তবেই ফল মিলবে।

 

২. ব্রেকফাস্টে খেতে হবে সিরিয়াল জাতীয় খাবার: পুষ্টিকর পরিবেশে স্পার্মের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। আর স্পার্ম যত ঠিক মতো কাজ করতে পারবে তত ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। সেই কারণেই তো মায়েদের শরীরে যাতে পুষ্টির অভাব দেখা না দেয়,

 

সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটিই করতে পারে সিরিয়াল জাতীয় খাবার। সেই কারণেই প্রতিদিন সকালে এই জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ভাবি মায়েদের।

 

৩. মাশরুম: স্পার্মের কার্যকারিতা বাড়াতে ভিটামিন ডি এবং পটাশিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই দুটি উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে মাশরুমে। তাই তো চিকিৎসকেরা মনে করেন স্বামী এবং স্ত্রী যদি মাশরুম জাতীয় খাবার বেশি করে খান, তাহলে তাদের ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

 

৪. সাইট্রাস ফল: এই ধরনের ফলে ভিটামিন সি বেশি মাত্রায় থাকে। এই উপাদানটি মায়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কারণ মায়ের শরীর যত সুস্থ থাকবে, পুষ্টির অভাব যত দূর হবে, তত ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

 

৫. স্টার্চ জাতীয় খাবার বেশি মাত্রায় খেতে হবে: বিজ্ঞান বলছে, হাই গ্লকোজ ডায়েট ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। সেই কারণেই তো গর্ভাবস্থায় বেশি করে ভাত এবং আলু খেতে বলা হয়। এমন ধরনের খাবার খেলে মায়ের শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে গ্লকোজের ঘাটতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।

 

৬. সি-ফুড: এই ধরনের খাবারে উপস্থিত জিঙ্ক, স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একথা তো সবারই জানা য়ে স্পার্ম কাউন্ট যত ভাল হবে, তত ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। তাই তো সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে সি-ফুড বেশি করে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে নাতে।

 

৭. শরীরে নুন এবং পটাশিয়ামের মাত্রা যেন ঠিক থাকে: মায়ের শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ব্যালেন্স যত ঠিক থাকবে, তত মায়ের শরীরে ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, যতদিন না প্রেগন্যান্ট হচ্ছেন, ততদিন নুন রয়েছে এমন খাবার বেশি বেশি করে খাবেন। কিন্তু একবার গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার পর আর বেশি মাত্রায় নুন খাওয়া চলবে না।

 

৮. টমাটো: মায়ের শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে টমাটো দারুনভাবে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ভিটামিন-সি এর ঘাটতি যাতে দেখা না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। তাই তো গর্ভাবস্থার আগে পর্যন্ত বেশি বেশি করে এই সবজিটি খেলে স্বাভাবিকভাবেই ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

 

৯. ফল এবং সবজি: পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি রয়েছে এমন ফল এবং সবজি বেশি করে খেতে হবে। যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে পটাশিয়াম মায়ের শরীরে ছেলে সন্তান ধারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একথা তো সবারই জানা যে পরিবেশ অনুকূলে থাকলে ছেলে সন্তান জন্ম যে নেবেই, তা অনেকাংশেই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব।

 

১০. কুমড়োর বীজ: এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং জিঙ্ক। এই দুটি উপাদান পুরুষদের শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্পার্মের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। অন্যদিকে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি মহিলাদের শরীরে ছেলে সন্তান ধারণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রসঙ্গত, কুমড়োর বীজ খেলে যে উপকারিতা পাওয়া যায়, বাদাম খেলেও সেই একই ফল মেলে।