ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে শাকিব-অপুর বিবাহবিচ্ছেদের তৃতীয় ও শেষ শুনানি ছিল সোমবার। যথারীতি ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে অটল শাকিব আজও আসেননি শুনানিতে। অপু প্রথম শুনানিতে এলেও দ্বিতীয়টাতে আসেননি। সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই দেখে তিনিও বিচ্ছেদ মেনে নিয়েছেন।
ছেলে আব্রামের জন্য হলেও অপু সংসার করার আগ্রহ জানান অনেকবার। শেষ পর্যন্ত তার আগ্রহের কোনো ইতিবাচক ফল আসেনি। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সোমবার ছিল তাদের চূড়ান্ত বিচ্ছেদ কার্যকরের দিন।
গত বছরের ২২ নভেম্বর অপুকে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠান শাকিব। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তিন মাস পর কার্যকর হবে বিবাহ বিচ্ছেদ। সেই হিসেবে ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিবের বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠানোর তিন মাস পূর্ণ হয়।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেন, শাকিব খান যেদিন স্বাক্ষর করেছিলেন, সেদিন থেকে তিন মাস পর কার্যকর হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা সিটি কর্পোরেশন তাদের তিন মাসে তিনবার ডাকব, সেই তৃতীয়বার বিষয়টির ফয়সালা হবে।
গতকাল তৃতীয় ও শেষবারের জন্য তাদের আবারও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু উপস্থিথ না হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে গেছে।
শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাস তাদের বিয়ের খবর গত নয় বছর ধরে গোপন রেখেছিলেন। এরপর এ বছরের ১০ এপ্রিল দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সন্তানসহ সাক্ষাতকার দিতে এসে সব ফাঁস করে দেন অপু।
এ খবর প্রকাশের পর থেকেই শাকিবের সঙ্গে অপুর মান-অভিমান চলছেই। একটা সময় গিয়ে এ নিয়ে শাকিবের সঙ্গে অপুর দূরত্ব তৈরি হয়। এখন ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর নিকেতনের বাসায় অপু তার পরিবারের সঙ্গে শাকিবকে ছাড়াই আছেন।