গ্রীন টি বা সবুজ চা ডায়েটের একটি জনপ্রিয় উপাদান।এটি বিলাসিতার মাধ্যম হিসেবেও ব্যাপকভাবে পরিচিত।অতিথি আপ্যায়নে আজকাল বেশির ভাগ সময় দুধ চায়ের পরিবতে পিওর গ্রীন টি, মিক্সড গ্রীন টি বা ব্ল্যাক লিকার টি পরিবেশন করা হয়।দার্জিলিং সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ রয়েছে যেখানে দুধ চায়ের প্রচলন নেই।বাংলাদেশেও আজকাল দুধ চা সেবনের হার কমে আসছে।রিসার্চ অনুযায়ী,দুধ চায়ের তুলনায় গ্রীন টি অনেক বেশি উপকারী।দুধ চায়ের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা নেই বললেই চলে।
অফিসে কাজের ফাঁকে বা কাজ থেকে বাসায় ফিরে এনার্জি পেতে অনেকেই চা বা কফি সেবন করে থাকেন।এক্ষেত্রে গ্রীন টি বা সবুজ চা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।গ্রীন টি এ যে ক্যাফেইন রয়েছে তা জাগিয়ে রাখার পাশাপাশি ব্রেইনকেও স্টিমুলেট করে।গবেষণায় দেখা গেছে,যারা নিয়মিত গ্রীন টি সেবন করে বৃদ্ধ বয়সে তাদের ব্রেইনে সমস্যা দেখা দেয় না। এছাড়া এটি এলঝেইমার প্রতিরোধ করে।বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও গ্রীন টিয়ের ভুমিকা অপরিসীম। আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তো এটি এক নম্বরে।তবে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন।কোন কিছুই অতিরিক্ত সেবন করা স্বাস্থ্যর জন্য ভাল নয়।গ্রীন টিও অতি মাত্রায় পান করলে তা শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।দিনে সবোচ্চ তিন কাপ পযন্ত এ চা সেবন করা যাবে।
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সৌন্দর্য চচার ক্ষেত্রেও গ্রীন টি অতুলনীয়।আজকাল বাজারে টি ব্যাগ আকারে গ্রীন টি বা সবুজ চা পাওয়া যায়।সেই টি ব্যাগ ব্যবহার শেষে অনেকেই তা ফেলে দেন।তবে এটিও অনেক উপকারে আসে।ব্যবহারকৃত টি ব্যাগ কেটে পাতা বের করে তার সাথে মধু মিশিয়ে ফেস স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।এছাড়া যে কোন প্রিয় ফেস মাস্কের সাথেও সেই গ্রীন টি মিশিয়ে এপ্লাই করা যায়।এতে ত্বকে একটি গ্লোয়িং ভাব আসবে।আজকাল অনেক বাড়ির বাথরুমে বাথটাব বসান হয়।গোসলের সময় বাথটাবে কুসুম গরম পানি জমিয়ে সেখানে বেশ কতগুলো টি ব্যাগ চুবিয়ে লাক্সারি বাথ নেয়া যায়।এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
পরিশেষে বলা যায়,গ্রীন টি শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি উপাদান।প্রত্যেকেরই উচিত এটিকে দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ বানানো।