কাজের অত্যাধিক চাপ ও টেনশনে বিপর্যস্ত আপনি। ডাক্তার, ওষুধ কিংবা ঝাড়ফুঁক কোনও কিছুতেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলছে না।
চাহিদা বাড়ছে যোগের। কারণ এই যোগই আপনাকে শরীর, স্বাস্থ্য কিংবা শারীরিক ক্লান্তি থেকে রেহাই দেবে এবং আপনাকে সুস্থ রাখবে।
দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে নিশ্চয়ই ঘাড় ব্যাথার সমস্যায় ভোগেন আপনি। কিন্তু কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন? ছয়টি খুব সহজ যোগ ব্যয়াম করলেই এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রায় পাঁচ হাজার বছরের এই পুরোনো যোগা পদ্ধতিকতে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। পদ্ধতিগুলো-
১. বালাসানা অথবা চাইল্ড পোজ- আপনার গোঁড়ালির উপর ভর দিয়ে বসুন। এরপর সামনের দিকে একটু ঝুঁকে বসুন। তারপর আসতে আসতে আপনার কপাল মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে আপনার বুক উরুতে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। সেই পজিশনেই কিছুক্ষণ থাকুন। এরপর আসতে আসতে সোজা হয়ে উঠে বসুন।
এতে আপনার নার্ভের সিস্টেম কিছুক্ষণের জন্য শান্ত হবে। ঘাড়েরও বিশ্রাম হবে। তবে আপনার পিঠে কিংবা হাঁটুতে যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে ভুলেও এই যোগ করবেন না।
২. নটরাজসনা বা রিসাইকেলিং ট্যুইস্ট- মাটিতে চিৎ হয়ে শুয়ে দুদিকে আপনার হাত প্রসারিত করুন। হাঁটু ভাঁজ করে আপনার গোঁড়ালি পশ্চাৎদেশের সঙ্গে স্পর্শ করুন। এরপর আপনার বাঁদিকের হাঁটুটা বাঁ দিকে সরান যতক্ষণ অবধি মাটিতে স্পর্শ করাতে পারবেন। অপরদিকে আপনার মাথা ডানদিকে সরাতে থাকুন। সেই সময় ডান হাতের তালুর দিকে তাকিয়ে থাকুন। সেই সময় কাঁধ অবশ্যই মাটিতে ছুঁয়ে থাকবে। চিন্তামুক্ত হতে এই যোগা অবশ্যই করুন। গর্ভবতী মহিলারা অবশ্যই এই যোগ এড়িয়ে চলুন।
৩. মারজারিয়াসনা বা ক্যাট স্ট্রেচ- টেবিলের মতন করে মাটিতে আপনার হাত এবং পা ছড়িয়ে বসুন চারদিকে। খেয়াল রাখুন, আপনার দুটি পা এবং হাতের মধ্যে যাতে দূরত্ব থাকে। এরপর আসতে প্রশ্বাস নিতে নিতে পিছনের দিকে মাথা হেলাতে থাকুন এবং আপনার পেট মাটিতে স্পর্শ করান। এই অবস্থায় একটা লম্বা শ্বাস নিন। এরপর মাথাটা সামনের দিকে নিয়ে মাটি থেকে পেটটা তুলুন। আবার সেই আগের পজিশনে ফিরে আসুন।
পরপর পাঁচ ছয়বার এই যোগ করলে আপনি সহজেই স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাবেন। কবজি এবং কাঁধ থেকে চাপ মুক্ত হবে। রক্ত সঞ্চালনও আরও উন্নত হবে। তবে পিঠে কিংবা ঘাড়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে তবে এই যোগ করবেন না। এই সমস্ত যোগগুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই করবেন।