পেশাদার ফুটবল হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু মাত্র ১৯ বছর বয়সেই যখন মাঠে মারা যায় তখন অর্থ আয়ের জন্য তিনি বেছে নেন একটি ভিন্ন পথ। তিনি হলেন ব্রাডলি সাইমন্ডস।
'হেলথ অ্যান্ড ফিটনেস' বিষয়ে তার ছিল দারুণ আগ্রহ। ব্রাডলি তখন সিদ্ধান্ত নেন যে অন্যদের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ব্রাডলি শুরুতে তার নিজের ও বন্ধুদের ছবি পোস্ট করতে শুরু করেন ইনস্টাগ্রামে। এর মধ্যদিয়েই তিনি একটি সুযোগ খুঁজছিলেন।
ব্রাডলি বলেন, আমি আসলে ফিটনেস ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কনটেন্টগুলো পোস্ট করতে শুরু করলাম। এটি করতে করতেই কিছু সেলিব্রিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলাম। একপর্যায়ে কিছু ফুটবলার তাদের প্রশিক্ষণে সহযোগিতার অনুরোধ করল।
তিনি আরো বলেন, আমি পোস্ট অব্যাহত রাখলাম, ব্লগিং চললো- ভবিষ্যতের একটা লক্ষ্য দাঁড় করালাম যে একটি জিম খুলবো যেখানে স্বাস্থ্যকর খাবারেরও ব্যবস্থা থাকবে।
আর এভাবে ইনস্টাগ্রাম পোস্টই তাকে পরিণত করলো একজন সফল উদ্যোক্তায়।
ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম জানায়, বিশ্বব্যাপী তাদের প্রায় আড়াই কোটি বিজনেস প্রোফাইল আছে। ব্রাডলিই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে উদ্যোক্তা হওয়ার একমাত্র উদাহরণ নন। ফুড ব্লগার এলা মিলস 'ডেলিশিয়াস এলা' নামে যে ব্র্যান্ড তৈরি করেছিলেন সেটি অবশেষে অনেক লোকসানের পর বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়াও কফি, পোশাক, প্রসাধনীসহ নানা ধরনের ব্যবসার শুরুর কাজে অনেকেই ইনস্টাগ্রামকে কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে।
তাদের কেউ কেউ সফল হয়েছেন আবার কেউ কেউ লোকসানের ভার সইতে না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।