জাপানের গণমাধ্যম দৈনিক আশাহি শিম্বুন জানায়, ওই দ্বীপে যারা যাবেন তারা সেখান থেকে কোনো স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে আসতে পারবেন না, একটি ঘাসের টুকরোও নয়।
শুনতে অবাক লাগলেও এই যুগে এসেও জাপানে এমন একটি প্রথা প্রচলন রয়েছে। জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি দ্বীপ ওকিনোশিমা। এ দ্বীপকে কেন্দ্র করে আরো নানা রকমের নিষেধাজ্ঞা চালু আছে। তবে সেখানে নারীরা যেতে পারবেন না এটা সবচেয়ে ব্যতিক্রম ও মান্ধাতার আমলের ধারণা। এছাড়া যে পুরুষরা ওই দ্বীপে যান, তাদেরকেও প্রথমে উলঙ্গ হয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হয়। এছাড়া এ দ্বীপে যাওয়ার বিবরণ তারা কাউকে কখনো বলতে পারবেন না। এ দ্বীপে রয়েছে মুনাকাতা তাইশা ওকিটসুমিয়া নামে একটি মন্দির, যা সমুদ্রের দেবীর সম্মানে নির্মিত। সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপদ যাত্রার উদ্দেশে এখানে পালিত হয় নানান আচার অনুষ্ঠান। এর মধ্যে একটি হল এ দ্বীপে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
সম্প্রতি ইউনেস্কোর একটি উপদেষ্টা দল দ্বীপটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামী জুলাইয়ে। অনেকেই ভেবেছিলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হলে হয়তো দ্বীপটিতে নারীদের প্রবেশাধিকারও পাওয়া যাবে।
তবে নারীদের যাওয়ার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে- এমন সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন ওই মন্দিরের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হলেও এ নিষেধাজ্ঞা উঠবে না।’