কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির শেষ ম্যাচে ছিল উত্তেজনা! বাজে আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদে ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেনকে মাঠ ছেড়ে উঠে আসতে বলছিলেন টাইগার ক্যাপ্টেন সাকিব।
মাঠের পাশে টেন্টে বসে থাকা লঙ্কান রিজার্ভ আম্পায়ার বারবার সাকিবকে থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন। সাকিবের চোখেমুখে আম্পায়ারদের প্রতি রাজ্যের ক্ষোভ।
এ সময় মাঠে ও মাঠের বাইরে সীমানার পাশে হঠাৎ জটলা। অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে প্রবেশ করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তিনিও চলে এসেছিলেন জটলার কাছে। হঠাৎ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন লঙ্কান অধিনায়ক থিসারা পেরেরা এবং বাংলাদেশের সোহান।
হাতাহাতি না হলেও দুজনই আঙুল নাড়িয়ে আরেকজনকে শাসালেন। মনে হচ্ছিল যে কোনো সময় একজন আরেকজনের ওপর চড়াও হতে পারেন। বিশেষ করে থিসারা পেরেরার দিকে আঙুল উঁচিয়ে সোহানের উত্তেজিত হওয়ার ছবিই একতরফাভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
আসলে কী ঘটেছিল তখন মাঠে? কেন ক্ষেপে গিয়েছিলেন সোহান। তার সঙ্গে লঙ্কান ক্যাপ্টেন থিসারা পেরেরার উত্তেজক কথাবার্তা বিনিময় হলো কেন? কেনই বা দুজন দুজনকে শাসালেন? তা নিয়ে ভক্ত, সমর্থক ও ক্রিকেট অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই।
সোমবার সকালে দেশে ফিরে সংবাদকর্মীদের কাছে সে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন নুরুল হাসান সোহান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সোহানের কাছে উপস্থিত সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা, আসলে কি হয়েছিল? আপনার সঙ্গে থিসারা পেরেরার কথাকাটাকাটি এবং বাদানুবাদ হলো কি নিয়ে?
সোহান বলেন, ‘আমি মাঠে ঢুকে রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এমন সময় লেগ আম্পায়ার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, প্রথম বলটা বাউন্স দেয়া হয়েছি কি না। তখন থিসারা এসে বলে তুমি কথা বলার কে? তুমি যাও। তোমার কথা বলা লাগবে না। আমি বলেছি তোমার সঙ্গে আমি আমি কথা বলছি না। তখন ও আমাকে গালি দিয়েছে। আমি বলেছি এটা তোমার দেখার বিষয় নয়।’