সোনালী ব্যাংকের পাওনা প্রায় ১৪শ কোটি টাকা

সোনালী ব্যাংকের পাওনা প্রায় ১৪শ কোটি টাকা

পাট রফতানির নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে উধাও খুলনার বেশ কয়েকটি পাটকল। নাম সর্বস্ব সাইনবোর্ডে কোনোটির অস্তিত্ব মিললেও হদিস নেই অনেক প্রতিষ্ঠানেরই। অনৈতিক সুবিধা নেয়া এমন ১শর বেশি গ্রাহকের কাছে রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংকের পাওনা প্রায় ১৪শ কোটি টাকা। যার অর্ধেকও আদায় নিয়ে শঙ্কা স্বয়ং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের। 

সোনালী আঁশ- পাট ঘিরে দিনভরই সরব থাকে দৌলতপুরের ভৈরবের পাড়। এলাকার অন্তত শ তিনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত কাঁচাপাট রফতানির সাথে। তাই, ছোটখাটো ব্যস্ততা লেগে থাকে প্রায় সবসময়।  

 

ঋণ নেয়ার পর তা শোধ না করেই ব্যবসা বন্ধ করে লাপাত্তা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তারই একটি আলমগীর জুট ট্রেডার্স। দৌলতপুরের মহসীন মোড়ে অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলছে কয়েক বছর ধরে। আর ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রেও মানা হয়নি ব্যাংকের নিয়মনীতি। ফলে, ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

 

আরেক প্রতিষ্ঠান এমআর এন্টারপ্রাইজকে তিনবার পুনতফসিলের সুযোগ দেয়ার পরও আদায় করা যায়নি ১৩ কোটি টাকা। তাই, বর্তমানে সাইনবোর্ডসর্বস্ব এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক লাপাত্তা বেশ কয়েক বছর ধরে। ব্যবসার নামে প্রায় ২১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আরেক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবুল কাশেম। যার বর্তমান হদিস জানেন না স্থানীয় অন্য ব্যবসায়ীরাও। 

 

এছাড়া, সাড়ে সাত কোটি টাকা নিয়ে উধাও পরশ ট্রেডার্স, সাড়ে তিন কোটি টানা নিয়ে সমসের এন্টারপ্রাইজসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। যাদের বেশিরভাগই ঋণ নিয়েছে সোনালী ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখা থেকে। কিন্তু, এ ব্যাপারে সেখানে গিয়ে মেলেনি সুস্পষ্ট জবাব। 

তবে, আরো ভয়াবহ তথ্য দিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার হিসাবে, গেলো চার-পাঁচ বছরে পাট রফতানির বিপরীতে ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়ে পড়েছে ১১৩ প্রতিষ্ঠান। যাতে টাকার অঙ্ক ১ হাজার ৪শ কোটির বেশি। আর এই টাকার অর্ধেকও শেষ পর্যন্ত আদায় হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। কেবল পাট নয়, হিমায়িত মাছ রফতানির নামেও মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে বসে আছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। 

কেবল পাট নয়, হিমায়িত মাছ রফতানির নামেও মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে বসে আছে একাধিক প্রতিষ্ঠান।