ফেসবুকে যা করছেন তা অন্য কেউ জানে না -এটা মনে করে একান্ত ব্যক্তিগত তথ্যও শেয়ার করে থাকেন বহু লোক। সম্প্রতি পাঁচ কোটি ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহারের খবরে টনক নড়েছে তাদের অনেকের। বিবিসির প্রযুক্তি সাংবাদিক ররি সেলান জোনস তুলে ধরেছেন, কীভাবে গ্রাহকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে ফেসবুক।
আপনার সম্পর্কে ফেসবুক কী তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছে তার প্রাথমিক ধারণা পেতে লগইন করে সেটিংসে যান। সেখানে ‘জেনারেল অ্যাকাউন্ট সেটিংস’ অপশনের নিচে ‘ডাউনলোড আ কপি অব ইওর ফেসবুক ডাটা’ অপশনটি সিলেক্ট করে ‘স্টার্ট মাই আর্কাইভ’ ক্লিক করুন।
এভাবে নিজের আর্কাইভ ডাউনলোড করার পর সিকিউরিটি চেক পার হতে হবে। তারপর আর্কাইভে প্রবেশ করে দেখুন। ফেসবুক আপনার সম্পর্কে এমন সব তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছে যেগুলোর অনেক কিছুই হয়ত নিজেও ভুলে গেছেন।
শুরুর দিকে মনে হতে পারে, এগুলো খুব সাধারণ তথ্য। অনেকে ভাবতে পারেন, যেসব পোস্ট, ছবি বা ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে, সেগুলোই হয়তো সংরক্ষণ করেছে ফেসবুক। কিন্তু একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বিষয়টি আপনার মধ্যে ভয়ের জন্ম দিতে পারে। কারণ, তারা আপনার ফোন নম্বরের সাহায্যে আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা সবার ফোন নম্বর সংক্ষরণ করে। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেই এমনটি হয়ে থাকে।
এ সম্পর্কে বিবিসির সাংবাদিক ররি সেলান জোনস লিখেছেন, আমি সাধারণ কিছু ছবি ও ভিডিও প্রত্যাশা করছিলাম। কিন্তু তথ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখি, গত এক দশকে আমার জীবনে যা যা ঘটেছে তার সবই সংরক্ষণ করেছে তারা।
তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে ফেসবুক আইডি চালুর পর কী হয়েছিল আমার মনে নেই। কিন্তু ফেসবুক এসব তথ্য ঠিকই সংরক্ষণ করে রেখেছে। শুধু তা-ই নয়, গত কয়েক সপ্তাহে আমি যেসব ফোন নম্বর মোবাইলে সেভ করেছি, তার প্রতিটি ফেসবুকে সংরক্ষিত আছে। তার মানে, ফোনের ডাটাবেসে আমি যে তথ্যই দিচ্ছি তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকে সেভ হয়ে যাচ্ছে।
ফেসবুক শুধু এভাবেই তথ্য সংরক্ষণ করে না। অনেক ব্যবহারকারী বলছেন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে করা সব টেক্সট মেসেজও ফেসবুক সংরক্ষণ করে থাকে। এছাড়া, ফেসবুকে অনেক মজার অ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।