ভারতে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ায় ১৬ লাখ শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিবিসি জানায়, ভারতে পরীক্ষায় প্রতারণা খুব সাধারণ ঘটনা। এর মধ্যে অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষার খাতা পাওয়াসহ আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাধ্যমিকের বোর্ড পরীক্ষায় (সিবিএসই) দুটি পরীক্ষার প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৬ মার্চ অর্থনীতি পরীক্ষার প্রশ্ন ঘণ্টাখানেক আগে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ১৫ মার্চ দিল্লি কর্তৃপক্ষও একটি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হওয়ার অভিযোগ পায়।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রথমে অস্বীকার করলেও সপ্তাহখানেক পরে তারা প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকার করে। বোর্ডের মুখপাত্র অনিতা কারওয়াল বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছি। কারো হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এই সিদ্ধান্ত হলো পুনরায় পরীক্ষা নেয়া। পরীক্ষার নতুন তারিখ শীঘ্রই জানানো হবে। প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় পুলিশ ৩০জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে পরীক্ষা কেন্দ্রে জুতা-মোজা পড়ে আসতে শিক্ষার্থীদেগর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়া জেল জরিমানার ব্যবস্থাও করে।
২০১৫ সালেও স্কুল পরীক্ষায় বাইরে থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব উত্তর সরবরাহ করায় ৩০০ জনকে আটক এবং সাড়ে ৭শ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
উত্তর প্রদেশেও প্রতারণা এড়াতে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তল্লাশি করা হয় এবং সিসিটিভি’র আওতায় পরীক্ষা নেওয়া হয়।
প্রশ্নফাঁসের এসব ঘটনায় অনলাইন নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিজ্ঞা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ যাদব।
প্রশ্নফাঁসের কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অফিসিয়াল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে ততৃীয় পক্ষের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের অভিযোগ ওঠায় সরকারের সমালোচনা হচ্ছে।
প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের প্রধান রাহুল গান্ধী প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় টুইটারে সরকারের সমালোচনা করেছেন।