চীনের বিকল স্পেস স্টেশন ‘তিয়ানগং-১’ চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। যদিও বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এটি পুড়ে যাবে এবং এর অক্ষত কোনো অংশ ভূমিতে পড়ার সম্ভাবণাও খুব ক্ষীণ।
এ মহাকাশ গবেষণাগার বর্তমানে নিষ্ক্রিয় এবং সব ধরণের যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এটি দশ মিটারের বেশি লম্বা। এর ওজন ৮ টনের বেশি। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন স্পেস ল্যাবটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তিয়ানগংয়ের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যাবে। এরপরও যদি কোনো অংশ অক্ষত থেকে যায় তবে তা সমুদ্রে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ঠিক কোন সময়ে এবং পৃথিবীর কোন অংশ দিয়ে এটি পুনঃপ্রবেশ করবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নেতৃত্বে ১৩টি মহাকাশ সংস্থা তিয়ানগংয়ের আচরণ ও পৃথিবীতে ফেরার পথ পর্যবেক্ষণ করছে। সম্মিলিতভাবে ইন্টার এজেন্সি স্পেস ডেব্রিস কোঅর্ডিনেশন কমিটি নামে পরিচিত এ সংস্থাগুলো তিয়ানগংয়ের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সম্ভাব্য সময় ও স্থান বিষয়ে পূর্বাভাস দেয়ার চেষ্টা করছে।
বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, তিয়ানগং মহাশূন্য থেকে অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ৫০তম বৃহদায়তন বস্তু। ২০১৬ সালে এটির সঙ্গে চীনা কর্তৃপক্ষের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর থেকে এটি অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় ছিল।
উল্লেখ্য, চীনের ৬ নভোচারী ২০১১ সালে নিক্ষিপ্ত এ স্পেস স্টেশনে ভ্রমণ করেছেন। মূলত এটি চীনের মহাকাশ গবেষণাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।