সুস্থ থাকার জন্য এই ৫ টি খাবার অবশ্যই খান

সুস্থ থাকার জন্য এই ৫ টি খাবার অবশ্যই খান

দীর্ঘায়ু কে না চান? কিন্তু বেঁচে থাকতে হলে আজীবন নীরোগ আর সুস্থ থাকতে হবে তো। জেনে নিন কোন পাঁচটি খাবার খেলে সব রোগবালাইয়ের থেকে নিজেকে অনেক দূরে রাখা সম্ভব।

রসুন –মুখে গন্ধ হয় বলে অনেকেই কাঁচা রসুন খেতে চান না। কিন্তু রান্নায় দেওয়া ছাড়াও রোজ যদি একটা করে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। জানতে চান কি কি সুফল পাবেন? রসুন কোলস্টেরল কমায়। শরীরে রক্তচলাচল বাড়াতে সাহায্য করে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ব্রকোলি –স্বাস্থ্যকর সবজির মধ্যে অন্যতম। যে কোনও সবজির সঙ্গে মিশিয়ে চট করে রান্না করে ফেলা যায়। ব্রকোলি তাই গৃহিনীদের বিশেষ পছন্দের। এতে অত্যাবশ্যকীয় ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা কোলস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসে ভরপুর এই সবুজ সবজি। যা কিডনি ভাল রাখতে, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে এবং শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমভাল রাখতে সাহায্য করে।

পালং শাক – পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস আছে। যা পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সার এবং মহিলাদের স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর গাঢ় সবুজ পাতায় আয়রণ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আছে।যা হাড়ে পুষ্টি যোগায়, হাড় শক্ত করে। আমাদের শরীরে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টসের চাহিদা পূরণ করে। পালংয়ের ভিটামিন এ ও সি চুল, ত্বক, চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে। হার্ট ফেলিওর, হাইপারটেনশন, করোনারি আর্টারি ডিসিস প্রভৃতি হৃদযন্ত্রের নানা দুরারোগ্য ব্যাধির ওযুধ পালংয়ের নির্যাস থেকে তৈরি হয়। তাই নিয়মিত পালং শাক খেলে এইসব রোগের প্রকোপ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

বাদাম-অ্যামন্ড –নিয়মিত অ্যামন্ড, আখরোট আর কাজুবাদাম খেলে অনেক উপকার মেলে। অ্যামন্ডে ক্যালোরি সবচেয়ে কম। কিন্তু প্রোটিন থাকে সবথেকে বেশি। অন্যদিকে আখরোট এবং কাজুতে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ থাকে কম। তবে ফাইবার, ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ডাল – যে কোনও এক রকমের ডাল রোজ কিছুটা পরিমাণে খান। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী, ভাত-রুটি জাতীয় কার্বোহা্ইড্রেট কম খেয়ে ডাল খেলে উপকারের মাত্রা বেড়ে যায়। ডাল হল লো কার্বোহাইড্রেট কিন্তু হাই প্রোটিন এবং হা্ই ফাইবার যুক্ত খাবার। যা সুগার, কোলস্টেরল কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীর গঠনে সাহায্য করে। ডাল মধ্যস্থ ভিটামিন-মিনারেল মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।