কেবল গরমের সময়ই নয়, সারা বছরই পান করতে পারেন ডাবের পানি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও জিংকসহ নানা উপকারী উপাদান যা সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য।
জেনে নিন নিয়মিত ডাবের পানি পান করার উপকারিতা সম্পর্কে-
পানি শূন্যতা দূর করে
ডাবের পানি শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে। ডাবে থাকা ইলেকট্রোলাইট ডায়ারিয়া, বমি এবং অতিরিক্ত ঘামের পর শরীরের খনিজের ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে অতিরিক্ত গরমে দাবের পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
ডাবের পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল জানার্লে প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।
হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায়
শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাহায্য করে ডাবের পানি। এছাড়া শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশংকা কমায় এটি।
ওজন কমায়
ডাবের পানিতে বেশকিছু উপকারি এনজাইম রয়েছে। এগুলো হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি খাবার হজমে সাহায্য করে। ফলে খাবার খাওয়া মাত্র তা এত ভালোভাবে হজম হয়ে যায় যে শরীরের ভেতরে হজম না হওয়া খাবার মেদ হিসেবে জমার সুযোগই পায় না। এছাড়া নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কমে যায়।
মাথা ব্যথা দূর করে
ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা ব্যাথা বা মাইগ্রেনের অ্যাটাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে এক গ্লাস ডাবের পানি পান করে নিন। কমে যাবে মাথা ব্যথা।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
২০১২ সালে হওয়া জার্নাল ফুড অ্যান্ড ফাংশন স্টাডিসে দেখা গিয়েছিল ডাবের জলে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে সহজে বয়সের ছাপ পড়বে না শরীরে। ডাবের পানিতে থাকা সাইটোকিনিস নামক একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান শরীরের কোষকে সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। একই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে ডাবের পানি।