কোভিড–১৯–এর তাণ্ডব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। করোনার এই দাপটে সাধারণ মানুষের রীতিমতো চিন্তিত ও আতঙ্কিত।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে অনেকেই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। খাবার নিয়েও অনেকে চিন্তায় রয়েছেন। বিশ্ববাসীর কাছে ভাইরাসটি একেবারে নতুন হওয়ায় বিভিন্ন গুজবও ছড়াচ্ছে। অথচ খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের সময় পরিচ্ছন্ন ও সতর্ক থাকলেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সহজে প্রতিরোধ করা যায়।
১. রান্না ও পরিবেশনের আগে ভালো করে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। মাছ-মাংস কাটার পর বোর্ড, ছুরি, বঁটি ইত্যাদি সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন। রান্নাঘরের মেঝে বা কেবিনেটের তল, যেখানে কাটাকুটি বা প্রস্তুতির কাজ করেছেন, সেটা কাজ শেষে সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
২.• কাঁচা সবজি, মাছ-মাংস, ডিম, শুকনা খাবার, ফলমূল ইত্যাদি আলাদা রাখতে হবে। কাঁচা সবজি, ফলমূল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৩.মাছ-মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ করে রান্না করতে হবে। বাজার থেকে আনা কাঁচা মাছ-মাংসে জীবাণু থাকলেও তা ফুটন্ত তাপমাত্রায় ধ্বংস হওয়ার কথা। ডিম পুরোপুরি সেদ্ধ করে খেতে হবে।
৪.• বাইরের বা রেস্তোরাঁর খাবার খেতে বাধা নেই। তবে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশনের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। খাবারের পার্সেল নেওয়ার পর হাত ধুয়ে ফেলুন।
৫. অসুস্থ হলে খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশন থেকে বিরত থাকুন।
৭. রান্নাঘরের মেঝে, কেবিনেটের তল, সিঙ্ক ও এর আশপাশ, হাঁড়ি-পাতিল ধোয়ার জায়গা দিনে কয়েকবার পরিষ্কার করুন। জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে পানির মিশ্রণ বেশ কার্যকর। এক বালতি পানিতে পাঁচ টেবিল চামচ ব্লিচিং পাউডার দিয়ে সেটা দিয়ে মপ করে নিন বা কাপড় ভিজিয়ে মুছে ফেলুন। মোছার সময় গ্লাভস ব্যবহার করতে পারলে ভালো। না হলে অবশ্যই কাজ শেষে হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খাবার টেবিল দিনে কয়েকবার সাবান-পানি বা ডিটারজেন্টমিশ্রিত পানি দিয়ে মুছে নিন।
• লেবুপানি বা ভিনেগার, থানকুনিপাতার রস, রসুন ইত্যাদি খেলে করোনার ঝুঁকি কমে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে। এসব তথ্যের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। পুষ্টিকর খাবার খান। যেকোনো ফ্লুর সঙ্গে লড়তে আপনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পুষ্টিকর সুষম খাবার আপনাকে সেই শক্তি দেবে।