কমবেশি সবার ব্যাক পেইন অর্থাৎ কোমরের বা মাজার ব্যথা হতে পারে। বার্ধক্যের কারণে এই ব্যথা বাড়তে পারে। একটানা চেয়ারে বসে থাকলে বা দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে, এটি হতে পারে। শুধু ওষুধ খেলেই ব্যথা ভালো হবে এমন নয়।
শোয়ার সময় আমাদের মেরুদণ্ড যদি শরীরের উপরের অংশের সঙ্গে ঠিক অ্যালাইনমেন্ট না থাকে, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে স্পাইনের উপর এতটা চাপ পড়তে থাকে যে ধীরে ধীরে তার কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্যাকপেইনের মতো রোগ এত মাত্রায় ঘারে চেপে বসে যে দৈনন্দিন জীবন একেবারে খারাপ হয়ে যায়। ব্যাক পেইন হলে অনেকে মনে করেন কিডনির সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে থাকার কারণে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
ব্যাক পেইন কেন হয়?
বিভিন্ন কারণেই ব্যাক পেইন হতে পারে। মূলত মেরুদণ্ড বা স্পাইন-সম্পর্কিত ব্যথাকেই আমরা ব্যাক পেইন বলে থাকি। স্নায়ু, পেশি, হারজোড় ইত্যাদি কারণেই ব্যাক পেইন দেখা যায়। মেরুদণ্ডের পেশি, স্নায়ু, হাড়ের জোড়া যদি সঠিক অবস্থানে সঠিক কাজ না করতে পারে, তাহলে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
ব্যাক পেইন দূর করতে কী করবেন-
১. ব্যাক পেইন হলে পিঠ সোজা হয়ে বাসার অভ্যাস করুন। পিঠ সোজা করে বসতে ও চলাফেরা করতে হবে।
২. দুই পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা উঁচু রেখে ঘুমাতে হবে।
৩. চেয়ারে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার সময় বসবার জায়গাটা যেন উঁচু থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৪. ভারী পানির বালতি বা ব্যাগ বহন করলে ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই ভারী কিছু বহন করা যাবে না।
৫. বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালানোর কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে। এক্ষেত্রে বাইসাইকেল চালানো পরিহার করতে হবে।
৬. ব্যাক পেইন হলে বিশ্রাম নিতে হবে। ব্যাক পেইন ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্রামের বিকল্প নেই।
৭. কোমর ব্যথা হলে সেঁক ও বরফ দেয়া যেতে পারে। কখনও কখনও সেঁক দিলে অথবা বরফ দিলে উপকার পেতে পারেন।
৮. ব্যাক পেইন সারাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।