সিঁড়ি ভাঙার অভ্যাস করুন, ফিট থাকুন

সিঁড়ি ভাঙার অভ্যাস করুন, ফিট থাকুন

অফিস কিংবা শপিং মলে লিফটের বদলে ব্যবহার করুন সিঁড়ি। আর তাতেই মিলবে হাজারও উপকারিতা। তবে এখনকার ব্যস্ত জীবনে আলাদা করে ওয়ার্ক আউটের জন্য আমরা সময় আমরা অনেকেই বের করতে পারি না। সেক্ষেত্রে দৈনন্দিন জীবনেই সামান্য কয়েকটি পরিবর্তন আনতে পারলে ফিট থাকা হতে পারে। শরীরের সঙ্গে আপনার মনও ভাল থাকবে। সিঁড়ি দিয়ে উঠলে কষ্ট হয় ঠিকই। কিন্তু বেশ ভালো একটি কার্ডিয়োভাস্কুলার একসারসাইজও হয়। ফিট থাকার জন্য সিঁড়ির উপর সম্পূর্ণ ভরসা করতে পারেন। নিয়মিত সিঁড়ি ওঠার অভ্যেস থাকলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়া সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও কমে।

আজই না হয় পাড়ায় পাড়ায় জিমের রমরমা হয়েছে, আগে তো আর মানুষের হাতে সে সব সুবিধে ছিল না। আজকালতো তিন তলা পর্যন্ত সিঁড়ি বেয়ে ওঠার কষ্ট করতে চান না কেউ, কিন্তু জানেন কি, সিঁড়ি দারুণ ব্যায়াম! দিনে যদি আপনি অন্তত ৪০টি সিঁড়ি ভাঙার অভ্যেস করেন, তা হলেই আপনার পা ক্রমশ শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে। পা শক্তিশালী হয়ে ওঠার পাশাপাশি এই কার্ডিও অ্যাকটিভিটির সৌজন্যে আপনার দমও ক্রমশ বাড়তে থাকবে, ফলে দৌড় বা স্প্রিন্টিংয়েও অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিছুদিনের মধ্যেই।

তবে কয়েকটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে
হাঁটুতে কোনও সমস্যা থাকলে সিঁড়ি ভাঙার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অতি উৎসাহে পায়ে চোট পেতে পারেন। আপনার পুরো পা যেন সিঁড়িতে থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কেবল পায়ের আঙুলের উপর বা গোড়ালিতে ভর দিলে চোট পেতে পারেন। পায়ে বাড়তি চাপ দেবেন না। পুরো সময়ে আপার বডি যেন সোজা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

 

Ø সিঁড়ি দিয়ে বারবার ওঠানামা করলে মেটাবলিজম রেট বাড়ে। যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

Ø সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে অস্টিওরপোরোসিসের সম্ভাবনা অনেকখানি কমিয়ে ফেলা যায়।

 

Ø যে কোনও রকমের ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি আমাদের শরীরের সঙ্গে মনও ভালো রাখতে সাহায্য করে। সিঁড়ি ভাঙার ফলে ভাঙার ফলে আমাদের মনও খুব ভালো থাকে।

 

Ø সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে আপনার হার্টের পাশাপাশি ফুসফুসও ভালো থাকবে। এর ফলে ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ে।