বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কিছু আগে তার বিশ্বাসঘাতক কর্মচারী রাজবল্লভের ছেলে কৃষ্ণবল্লভ খাজনার টাকাপয়সা আত্নসাত করে পালিয়ে আসে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে, যেখানে তাকে আশ্রয় দেয় ফরিদ্গঞ্জের লোহাগড় গ্রামের জমিদার। হত্যা-ধর্ষণ-লুন্ঠন সহ প্রজাদের উপর সব রকমের নির্যাতনের জন্যে এই বংশ ছিল সুবিখ্যাত। অত্যাচারী এই জমিদারীর প্রভাব-প্রতাপের নিদর্শন হিসেবে ডাকাতিয়ার কূলে এই পাঁচটা মঠ তৈরি করা হয়েছিল, অনেকটা যেন নবাবী আমলের ট্রাম্প টাওয়ার। কত পুরনো, তা নিশ্চিত জানা যায় না। অনেক রকম মিথ চালু আছে এদেরকে ঘিরে, আর কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে দুটো মঠ।
খুব ইন্টেরেস্টিং কাঠামো, অনেকটা মঠ আর প্যাগোডার সংমিশ্রণ। আজকের ভাঙ্গা রাস্তা আর সহজ সরল গ্রামীণ পরিবেশ দেখে ভাবা কঠিন যে এক সময়ে এই জমিদারদের ‘শো-অফের’ অংশ হিসেবে রাস্তায় পয়সা বিছিয়ে গালিচা তৈরি করা হয়েছিল তেনাদের জন্য।
পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়া, চাঁদপুর শহরের বিখ্যাত ওয়ান মিনিটের মালাই আইসক্রিম আর ক্ষীর, সেই সাথে পুরনো ইতিহাস খুঁজবার খানিকটা চেষ্টা। পুরনো শাহী মসজিদ কিংবা সাহেবগঞ্জে পর্তুগীজ কলোনিয়ালিস্টদের বিশাল একটা দুর্গ ছিল (যেটির অস্তিত্ব এখন নাই বললেই চলে) সেটা আর এক্সপ্লোর করা হয়নি এবার।
সদরঘাট থেকে আমরা ধরেছিলাম সাড়ে আটটায় ছেড়ে আসা বোগদাদিয়া ৭ লঞ্চ, বেশ নতুন এবং তিন ঘন্টাতেই চাঁদপুর পৌছে দেয় এটা। সারাদিন ঘোরাফেরা শেষ করে বিকেল পাঁচটায় আবার এই লঞ্চেই ফেরত। শ’পাচেক টাকার ভেতরে বহুদিন পর ঢাকার আরবান জেলখানা থেকে নদীর ভেজা বাতাসে বের হওয়ার একটা সুযোগ……