রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের আমদানি দ্রুত বৃদ্ধি

রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের আমদানি দ্রুত বৃদ্ধি
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের আমদানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং জানুয়ারি মাসে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়েছে, যা রোজার পুরো মাসের চাহিদার সমান বা কিছু ক্ষেত্রে তা ছাড়িয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আরও পণ্য আমদানি হবে, ফলে সরবরাহ বাড়বে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কিছু বড় শিল্পগ্রুপের আমদানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও নতুন আমদানিকারকরা সক্রিয় হয়েছেন এবং নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোও নিত্যপণ্য আমদানিতে যুক্ত হয়েছে, ফলে সরবরাহে কোনো সমস্যা হয়নি। আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য তদারকি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, জানুয়ারি মাসে সয়াবিন ও পাম তেল, চিনি, ছোলা, মটর ডাল, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের আমদানির জন্য শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং আমদানি খরচও অনেকটা কমেছে। তবে, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে দাম বাড়তে না পারে, সেজন্য নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন, বিশেষ করে রোজার সময়। আমদানি ব্যয় ৭৪% বেড়েছে এবং চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রায় ৮৮% পণ্য আসছে, যা পণ্যের সরবরাহ সুষ্ঠু রাখতে সাহায্য করছে। আমদানিকারকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখন ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান রোজার পণ্য আমদানি করছে, যা বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে, তদারকি বাড়ানো ও সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন, কারণ পণ্যের দাম ভোক্তা পর্যায়ে আসতে আসতে অনেক বেড়ে যায়।