বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় এবং এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে "United by Unique"। প্রতিটি ক্যান্সার রোগীর অভিজ্ঞতা আলাদা এবং এই বিভিন্ন অভিজ্ঞতাগুলিকে একত্রিত করে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্য এবারের উদ্যোগ। সাধারণভাবে ক্যান্সারকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: সলিড ক্যান্সার, যেমন লাং, ব্রেস্ট, পাকস্থলি, প্রস্টেট, এবং লিভার ক্যান্সার; এবং ব্লাড ক্যান্সার, যেমন লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, এবং মায়েলোমা, যা রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসা করেন।
ব্লাড ক্যান্সার মূলত রক্তের কনিকা এবং অস্থিমজ্জার সমস্যার কারণে ঘটে, এবং এটি লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, এবং মায়েলোমা নামক বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে বিভক্ত। এর কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক, কীটনাশক এবং জেনেটিক কারণে এর উদ্ভব হতে পারে। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলোর মধ্যে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, রক্তস্বল্পতা, দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ এবং গ্লান্ড বা অঙ্গের বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত।
ব্লাড ক্যান্সারের নির্ণয়ের জন্য রক্তের সিবিসি পরীক্ষা, ব্লাড ফিল্ম, বোনম্যারো টেস্ট, এবং অন্যান্য জেনেটিক স্টাডি করা হয়। উন্নত চিকিৎসা এবং মলিকুলার টার্গেটেড থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপি আবিষ্কারের কারণে, অনেক ক্ষেত্রে ব্লাড ক্যান্সার পুরোপুরি ভালো হতে পারে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন (বিএমটি) প্রয়োজন হতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সার মানে মৃত্যু নয়, এবং উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে দেশেই ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং ঔষধ তৈরি হচ্ছে, যা বিদেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে, অনেক ব্লাড ক্যান্সারের রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।