ডিজিটাল ব্যবস্থায় শরীরের ভেতরেও শনাক্ত করা যাবে এমন প্রথম ট্যাবলেট বা বড়ির অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন নীতিনির্ধারকরা।
অ্যাবিলিফি মাইসাইট নামের এই এরিপিপ্র্যাজল ট্যাবলেট সিজোফ্রেনিয়ার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এতে খাওয়ার উপযোগী একটি সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে যা এই ওষুধ খাওয়ার তথ্যটি সংরক্ষণ করবে। রোগীর পরিধেয় একটি যন্ত্র এই তথ্য তাদের স্মার্টফোনে পাঠিয়ে দেবে।
বিশেষজ্ঞদের আশা এর মাধ্যমে রোগীর ঠিকঠাক ওষুধ খাওয়া বাড়বে। যদিও এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে তারা তাদের পণ্যে এখনও এমনটা প্রমাণ করেনি।
এক্ষেত্রে একদম তাৎক্ষণিকভাবে বা জরুরী সময়ে ওষুধ খাওয়ার তথ্য শনাক্তে এটি ব্যবহার করা উচিৎ হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে এই শনাক্তকরণে দেরি হতে পারে বা এটি নাও হতে পারে।
স্মৃতিভ্রম রোগে ভুগছেন এমন বয়স্কদের জন্য এই বড়ি ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই বড়িতে রাখা সেন্সরটির আকার একটি বালুকণার সমান। পাকস্থলীর তরলের সঙ্গে সংযোগ হওয়ার পর এটি চালু হয়।
চালু হওয়ার পর বড়িটি খাওয়া শনাক্ত করতে আধাঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা সময় নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এফডিএ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “কিছু রোগীর ক্ষেত্রে মানসিক অসুস্থতার জন্য দেওয়া ওষুধ খাওয়া শনাক্তে এটি সক্ষম।”