অতিরিক্ত সিম বন্ধের শেষ সময় ছিল গত ৩১ ডিসেম্বর। এখন তা দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অতিরিক্ত সিম বন্ধের কাজটি করতে হবে।
এর আগে একজন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর নামে ১৫টির বেশি মোবাইল সিম নিবন্ধিত থাকলে অতিরিক্ত সিম ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বন্ধ করতে হবে বলে জানানো হয়েছিল।
বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র সরওয়ার আলম বলেন, কমিশন অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে একজন গ্রাহকের ১৫টির বেশি সিম থাকার দরকার নেই। তবে সময়ে সময়ে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ আছে। তবে গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ সময় বাড়ানো হয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর বিটিআরসির এক নির্দেশনায় বলা হয়, ১৫টির বেশি সিম থাকলে তা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বন্ধ করতে হবে। গ্রাহক ওই সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় না করলে কমিশন পরে নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল ও বন্ধ করে দেবে। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সিমও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল ওই নির্দেশনায়। এ সব নির্দেশনা প্রিপেইড সিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
এর আগে ২০১৬ সালের ২০ জুন গ্রাহকপ্রতি সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখা যাবে বলে বিটিআরসি সীমা বেধে দিয়েছিল। গত বছরের আগস্টে তা আরও কমিয়ে পাঁচটি করা হয়েছিল। এরপর ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে গত ২৪ অক্টোবর গ্রাহকপ্রতি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম বা রিম রাখার সুযোগ দেয় বিটিআরসি।
একজন গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে কতটি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তা দুটি পদ্ধতিতে জানা যাবে। মোবাইল ফোন থেকে *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করলে ফিরতি বার্তায় গ্রাহকের তার এনআইডির শেষ চার সংখ্যা জানতে চাওয়া হবে। তা লিখে পাঠালে ফিরতি খুদে বার্তায় ওই গ্রাহকের নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানিয়ে দেয়া হবে।
এছাড়া এনআইডি নম্বরের শেষ চার সংখ্যা বা ডিজিট লিখে ১৬০০১ নম্বরে খুদেবার্তা পাঠিয়েও একটি এনআইডির বিপরীতে নিবন্ধিত সিম সংখ্যা জানা যাবে।