গোপন সূত্রের বরাতে মার্কিন প্রযুক্তি সাইট ভার্জ জানিয়েছে, টুইটার প্রায় এক বছর ধরে অভ্যন্তরীণভাবে এই টুল নিয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছে।
তবে, এটি আসলেই আনা হবে কিনা বা আনলেও ঠিক কবে নাগাদ আনা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই কিওয়ার্ড ফিল্টারিং ফিচার-কে ছবি শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি যোগ করা একটি ফিচারের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ওই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কিছু নির্দিষ্ট শব্দ বাছাই করে দিতে পারেন, যে শব্দগুলো রেখে কোনো কমেন্ট করলে শব্দগুলো দেখানো হবে না।
ব্যবহারকারীরা টুইটারের এই ফিল্টার দিয়ে লিঙ্গ বা বর্ণবৈষম্য করে দেওয়া টুইটগুলো দেখা থেকে বিরত থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গে তারা আগ্রহী নন, এমন বিষয়ে করা টুইটগুলো দেখাও বন্ধ করতে পারবেন তারা।
টুইটারে এই ধরনের ফিল্টারিং ব্যবস্থা ইতোমধ্যে টুইটডেক বা টুইটবট-এর মতো থার্ডপার্টি সেবাগুলো দিয়ে আসছে।
চলতি মাসেই এক ব্লগপোস্টে ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রচারণা বা হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৩৬০০০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার খবর জানায় টুইটার।
ওই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে উগ্রপন্থী ইসলামিক স্টেট সমর্থকদের অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ‘পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার’ কারণে এর আগে প্রতিষ্ঠানটির ওয়াশিংটন আর থার্ড-পার্টি বিভিন্ন গ্রুপের অগ্নিচক্ষুর সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে সাইটটি বাড়তি ২৩৫০০০ অ্যাকাউন্ট বাতিল করে।
এর আগে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ১২৫০০০ অ্যাকাউন্ট-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তারা, যেসব অ্যাকাউন্টের অধিকাংশ ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।