মশাবাহিত রোগ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা ইদানীং বেড়েছে। চিকনগুনিয়া, জিকা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত সব রোগের হাত থেকে বাঁচার পথ অনেক দিন ধরেই মানুষ খুঁজছে। সেই পথের খোঁজ দিতেই মাঠে নেমেছে পৃথিবীর দুই নামি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল এবং মাইক্রোসফট করপোরেশন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে প্রকাশ, গত ১২ জুলাই মাইক্রোসফট, গুগল ও ক্যালিফোর্নিয়ার লাইফ সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। উচ্চ প্রযুক্তির অটোমেশন, রোবটিকস, ইনফ্রারেড সেন্সরসহ নানা প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মূল করা হবে মশাদের।
এ ব্যাপারে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক আনন্দশংকর রায় বলেন, ‘এটা দারুণ যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে। এখানে প্রকৌশলীদের জীবতাত্ত্বিক সমস্যা সমাধান করতে দেওয়া হয়েছে।’
আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে তারা উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মাইক্রোসফট এমন একটি স্মার্ট ট্র্যাপ বা আধুনিক জাল তৈরি করেছে যাতে জিকা, চিকনগুনিয়াবাহী মশা সহজেই ধরা পড়বে। ফলে রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে পতঙ্গবিজ্ঞানীদের কাজ করাটা আরো সহজ হবে। এরই মধ্যে টেক্সাসের হিউস্টন ও হ্যারিস কাউন্টিতে মাইক্রোসফট ১০ টি আধুনিক জালের পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছে।
অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার লাইফ সায়েন্স ডিভিশন তৈরি করছে বন্ধ্যা পুরুষ মশা। কারণ পুরুষ মশা কোনো রোগ বহন করে না এবং কামড়ায় না। তৈরি হওয়ার পর যাদের ছাড়া হবে জঙ্গলে। এর মাধ্যমে করা হবে মশাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ। এই প্রযুক্তিতে তৈরি পুরুষ মশার সঙ্গে স্ত্রী মশার মিলনে যে ডিম ছাড়া হবে তা ডিম অবস্থাতেই থেকে যাবে। এরইমধ্যে এই পুরুষ মশা পরীক্ষামূলকভাবে ব্রাজিলে ছাড়া হয়েছে। এখন টেক্সাস ও ফ্লোরিডাতেও এই ধরনের মশা ছাড়া হবে।