অবৈধভাবে আমদানি করা হ্যান্ডসেট বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আর এমন একটি প্রক্রিয়া চালু হবে, যাতে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারেন তাদের মোবাইল সেটটি বৈধ না অবৈধ।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ২০১৭ সচিবালয়ে টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)’ এর নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তারানা হালিম বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) নম্বরের জন্য সরকার একটি তথ্যভাণ্ডার হচ্ছে।
মোবাইল আমদানিকারকরাও তাদের নিজস্ব তথ্যভাণ্ডার স্থাপন করছে যা আগামী ৬ ফেব্রয়ারি চালু করা হবে। এ তথ্যভাণ্ডারে বৈধপথে আসা হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই নম্বর সংরক্ষিত থাকবে। কোনো হ্যান্ডসেট চালু হওয়ার পরই তার আইএমইআই নম্বর অপারেটরদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যায়। তারা এ তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে যাচাই করতে পারবে মোবাইল সেটটি বৈধ না অবৈধ।
এর ফলে অবৈধ বা নকল আইএমইআই যুক্ত হ্যান্ডসেট পাওয়া গেলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে ঠিক কবে নাগাদ এই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা সুনির্দিষ্ট করে জানাননি তারানা হালিম।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী এপ্রিলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে কাজ শেষ হবে।’
মোবাইল আমদানিকারকরা বলছেন, বাজারে যেসব মোবাইল হ্যান্ডসেট আছে সেগুলোর প্রতি তিনটির একটিই নকল বা অবৈধ। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দাবি করছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অবৈধ আইএমইআই নম্বরযুক্ত সেট ব্যবহার করা হচ্ছে। এজন্য অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
আইএমইআই নম্বর হলো ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে, যা নকল হ্যান্ডসেটে থাকে না।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদি, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।