মানুষের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান একটি মাধ্যম হল দেহের চুল। আর সেই চুলের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন যাতে চুল ঠিক থাকে। কিন্তু সেই চুলই যদি মাথায় না থাকে তাহলে কতই অসহায় মনে হয়। তবে চিন্তার কোন কারণই নেই কেননা চুল পড়া থেকে রক্ষা পাবেন কম খরচেই। এখন শীত কাল। শীত মানে নানা রাকমের শাক-সবজি। যারা চুল পড়া নিয়ে শংকিত তাদের জন্য সুখর দিচ্ছে পালং শাক। পালং খেতে যেমন মজা তেমনি গুণেও সেরা।
পালং শাকে রয়েছে বেশ উপকারিতা:
পালংশাকে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’, ‘এ’, ‘সি’, ‘বি২’ ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, তেমনি ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে ২৩ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আমিষ, ৪ গ্রাম শর্করা ও ২ গ্রাম আঁশ থাকে, তবে কোনো চর্বি নেই। পালংশাকে প্রচুর পানি থাকে। দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে পালংশাক। রক্তের গুণাগুণ বাড়ায়। পালংশাকের আয়রন লাল রক্ত কণিকা গঠনে সাহায্য করে, যা সারা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনে। পালংশাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ শাক খুঁজে পাওয়া কঠিন।
হাড় সুরক্ষায় এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অকাল অন্ধত্ব এবং রাতকানা রোধে পালংশাকের ভিটামিন ‘এ’ খুব কাজে দেয়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুল পড়া রোধ করতেও পালংশাক কার্যকরী। ক্যানসার প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে পালংশাক অপরিহার্য।
আঁশসমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় পালংশাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চিনি না থাকায় ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে পালংশাক খেতে পারেন।
সতর্কতা:
পালংশাকে প্রচুর অক্সালেট থাকে। কিডনির পাথরে অক্সালেট পাওয়া গেছে এমন কেউ বেশি পরিমাণে পালংশাক খাবেন না, পরিহার করাই ভালো। এতে অক্সালিক অ্যাসিডের পরিমাণও বেশি। বেশি অক্সালিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শুষে নেয়। হালকা রান্না করলে এই অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায় বলে ধারণা করা হয়।