আনিস সুমন এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। সেখানে তার কাজের চাপ প্রচুর। প্রতি সপ্তাহে টার্গেট পূরণের চাপ, টার্গেট পূরণ না হলেই বসের কটু কথা। এদিকে আবার বান্ধবীকে সময় দিতে না পারলেই ঝগড়া। এত চাপ মাথায় রাখতে রাখতেই মাথা হয়ে যায় জ্যাম। সেই জ্যাম কাটানোর জন্যই ঘনঘন খেতে হয় সিগারেট।
প্রতি সপ্তাহের শুরুতেই সুমন ঠিক করে সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দেবে। কিন্তু মাথার জ্যাম কাটানোর জন্যই সেই শপথ ভেঙে ফেলতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, সুমনের মতো অনেকেই ভাবেন ধূমপান করলে চাপ দূর হয়। কিন্তু এই কথা একেবারেই ঠিক নয়।
সিগারেট আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে সুমনের মতো অনেকেই রোজ সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। কিন্তু চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ঠিক কয়েকদিন পর থেকেই তাদের মুখে আবারও আগুন দেখতে পাওয়া যায়।
তবে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া খুব একটা সহজ কাজ না হলেও তা বিনা পয়সাতেও ছাড়া সম্ভব। আসলে সবকিছুই অভ্যাসের ফলেই করা সম্ভব হয়। এবার দেখে নেওয়া যাক ধূমপান ছাড়ার ৫টি সহজ উপায়…
১) ভিটামিন সি-যুক্ত ফল খেলেই সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। এমনকি, রোজ রাতে এবং দুপুরে খাওয়ার পর দুধ খান। তারপর সিগারেট খেয়ে দেখুন। এমন তেতো লাগবে যে, ধীরে ধীরে সিগারেট খাওয়া ছেড়েই দেবেন।
২) অফিসে এমন কলিগের সঙ্গে মেলামেশা করুন যিনি বা যারা সিগারেট খান না। তাহলে ধীরে ধীরে খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাবে। এমনকি, অফিসের বাইরে আড্ডা দেওয়ার সময় মুখে চুয়িং গাম চিবান। খেয়াল রাখবেন, যাতে অবসর সময় মুখ ফাঁকা না থাকে।
৩) মাথায় প্রচুর চাপ? সিগারেটের জন্য মন ছটফট করছে? এই রকম সময় জিভে খানিকটা নুন দিয়ে দিন। দেখবেন, আস্তে আস্তে সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা চলে যাবে।
৪) সিগারেট খাওয়া হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই যদি মনে করে থাকেন সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেবেন, তাহলে আগে থেকেই যোগাসনে বসা শুরু করে দিন। নিয়মিত যোগাসন করার ফলে সিগারেট খাওয়ার প্রবণতাও ধীরে ধীরে লোপ পায়।
৫) মানুষ হল অভ্যাসের দাস। মন শক্ত করুন। সবচেয়ে বড় কথা বারবার এটা মনে ভাববেন না যে, আপনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন। এই কথা যদি বেশি চিন্তা করেন তাহলে কিন্তু কখনোই খাওয়া ছাড়তে পারবেন না।
তাই নিজের প্রিয়জনদের হাসি মুখের কথা চিন্তা করে আজই ছেড়ে দিন সিগারেট খাওয়া।