রাজধানীতে জমে উঠছে যৌন ব্যবসা। শুধু রাতের আধারেই নয় ! ঢাকার বিভিন্ন ভিআইপি এলাকায় এ ব্যবসা চলছে দিনের আলোতেও। তবে এটা নতুন কিছু নয়! রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস, গুলশান, বনানী লালমাটিয়া, দিলু রোড, ইস্কাটন রোড, সেন্ট্রাল রোড, মোহম্মদপুর, রামপুরা, শান্তিনগর, উত্তরা, কাকলী, কালাচাঁদপুর এলাকায় এ ব্যবসা চলছে বলে জানা গেছে। তবে ভিআইপি এলাকায় যৌন ব্যবসা পরিচালিত হয় বিশেষ গোপনীয়তার সাথে ভিন্ন আঙ্গিকে !
ভিআইপি এলাকাগুলোতে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া করে চলছে যৌন ব্যবসা। সেখানে যাতায়াত করে বিশেষ ধরনের খদ্দের। আর এ ব্যবসার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন এবং ভিজিটিং কার্ড! চলতি পথে আপনারা অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করবেন কিছু ব্যক্তি বাসের জানালা দিয়ে কার্ড বা কাগজ ছুড়ে দেয়। আর যার মধ্যে শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা বা সমাধানের জন্য তথাকথিত ডাক্তারের নম্বর দেয়া থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ সব কার্ড বা কাগজ অন্তরালে থাকে যৌন ব্যবসার প্রচার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী জানান, তার হাতে একটি কার্ড পড়েছিল। কল করলে একজন পুরুষ রিসিভ করে। বিনয়ের সঙ্গে জানায়, আপনার ফোনের অপেক্ষায় আছেন ঢাকার বিভিন্ন কলেজ, ইউনিভারসিটির ছাত্রী ও মধ্য বয়সের মহিলা যৌনকর্মী। বলুন কি সেবা করতে পারি স্যার? রাজধানীর দু’একটি স্থান ছাড়া প্রায় সব জায়গাতেই এ ব্যবসা চলছে বলে জানা যায়।
ভিজিটিং কার্ডের নম্বরধারীরা সাধারণত চারটি ভাগে রাজধানীতে যৌনকর্মী সরবরাহ করে। প্রথমত যৌনকর্মীকে ভিজিটরের বাসার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া, দ্বিতীয়ত যৌনকর্মী ও ফ্ল্যাট ভিজিটরকে নিরাপদে নিয়ে আসা, তৃতীয়ত হোটেল কক্ষে যৌন মিলনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং চতুর্থ প্রাইভেট পরিবহন ও পার্ক।
বিশেষ শ্রেণীর যৌনকর্মীরা নিজের ফ্ল্যাট বাসা-বাড়িতে খদ্দেরকে আপ্যায়ন করে। কেবল টাকার জন্য নয় নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্যও অনেকে এ কাজে নেমেছে। তবে এ সংখ্যা খুব কম। এমনও যৌনকর্মী আছে যাদের সন্তান বড় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। সূত্র মতে, আবাসিক হোটেলের প্রায় ২ থেকে ৩শ’ ভিজিটিং কার্ডধারী যুবক এখন যৌনকর্মীদের মধ্যস্থতাকারীর কাজে লিপ্ত। ভিজিটিং কার্ডের আয় থেকে চলছে তাদের সংসার।
এক হোটেল বয় জানায়, আজকাল ভদ্র ঘরের মেয়েরাও যৌন ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নেমেছে এ পেশায়। তারা বড় বড় হোটেলে যায়। তাদের কন্টাক্ট নম্বর কেবল হোটেলে পাওয়া যায়।
এক যৌনকর্মী সম্পর্কে সে জানায়, দূরের জেলায় ব্যবসা করে। নিঃসন্তান। প্রতি শুক্রবার স্বামী ঢাকায় ফেরে। ওই মহিলা সপ্তাহে তিন দিন আমাদের মাধ্যমে বাসায় খদ্দের নেয়। ভিজিটের অর্ধেক টাকা দিয়ে দেয়। বনানীর এক যৌনকর্মীর স্বামী সরকারি কর্মকর্তা। সে ১ সন্তানের মা। টাকার জন্য এ পেশায় এসেছে।
জানা যায়, এসকল যৌনকর্মীদের আয় সপ্তাহে ২৫ হাজার টাকার বেশী হয়ে থাকে। হোটেলে শুধু পতিতা মেয়েরা আসে না। কেউ আসে পতিতা সেজে। খদ্দের দেখে পছন্দ হলে বাসায় নিয়ে যায়। বিনিময়ে দালালদের কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়। স্বামীর অসঙ্গতি, সংসারে ঝামেলা ও বিভিন্ন মানসিক কষ্টের কারণে এ কাজে অনেকে ঝুঁকে পড়েছে।