সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন খালেদা জিয়াঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। হামলা-মামলা দিয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠকে বন্ধ করা যাবে না। গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের মানুষ জেগে উঠবেই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি যেকোনো অবস্থার জন্য প্রস্তুত। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না। দেশ বাসীকে বলতে চাই আপনাদের খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেনি, দূর্নীতি করেনি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বারবার গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে দেশে দুঃশাসন চলছে। এই স্বৈরশাসন জণগনকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। মানুষকে ভাতে মারছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে।
শেয়ার বাজার এরা লুটে খেয়েছে। অর্থ লোপাট করে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করেছে। সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার করে পাহাড় গড়েছে। তদন্ত করা হয় না। তদন্ত হলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দোষীদের বিচার হয় না। লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সকল প্রতিবাদের পথ এরা বন্ধ করে দিয়েছে।
খালেদা জিয়া আরো বলেন, গণতন্ত্রের আজ লক্ষ কর্মী মানবেতর জীবনযাপন করছে। অপহরণ, খুনে ঘরে ঘরে আজ হাহাকার। মানুষ স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারছে না। ভয় ভীতির মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রহসনের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। যারা লগিবৈঠা দিয়ে মানুষ খুনের নির্দেশ দেয়। যারা গান পাউডার দিয়ে মারে। আন্দোলনের নামে ব্যাংকে আগুন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন, চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে আগুন, বন্দরে আগুন দিয়েছে তারাই আজ আমাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশের সব কয়টি প্রতিষ্ঠানেকে ধ্বংস করা হয়েছে। ১০ টাকা ধরে চাল খাওয়ানোর ওয়াদাকে ভয়াবহভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে। চালের দাম এখন কেজি ধরে ৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে আজ সত্যিকারের সংসদ নেই। নেই বিরোধী দল। শাসকদের কোথাও কোনো জবাবাদিহিতা নেই। সশস্ত্র বাহিনীর সর্ম্পকে বৈরী প্রচারণা ও ঘুণা ছড়ানো হচ্ছে। আইনশৃ ঙ্খলা বাহিনীকে জণগনের বিরুদ্ধে দাড় করানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের কাজ নেই। ব্যবসা নেই।মাদকের বিষাক্ত চোবলে তরুণ সমাজ ধ্বয়ংস হয়ে যাচ্ছে। এই দু:সহ অবস্থা থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায়। তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের আশার প্রতিফলন ঘটনাতে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম শুরু করেছি। সেই সংগ্রামে অনেক প্রাণ ঝরে গেছে। অগণিত নেতাকর্মী ও মানুষ হামলা মামলার শিকার হয়েছে। রক্তপিপাসু শাসকদের কবল থেকে দেশবাসীকে রক্ষার সংগ্রামে নেমেছি। জনগণ পরাজিত হবে না। দু:শাসন একদিন থাকবে না। কিন্তু তারা যে কলংকের ইতিহাস রচনা করেছে তা চিহ্নিত থাকবে।