কথায় বলে, আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ মেকস এ ম্যান হেলদি, ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইজ। অর্থাৎ দ্রুত বিছানায় যেতে হবে আর সকাল সকাল উঠতে হবে, তাহলেই সাফল্য পাওয়া যাবে। এটাই হয়তো সাফল্যের আসল মন্ত্র। চলতি প্রবাদ আছে, ‘‘যে ঘুমায়, তার ভাগ্যও ঘুমিয়ে থাকে৷’’ অর্থাৎ, জীবনে সফল হতে গেলে ঘুমের সঙ্গে আপস করতেই হবে৷ আবার নিজেকে কষ্ট দিয়েও নয়৷
সুস্থ মানুষের জন্য পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ঠ৷ আর, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া ও ঘুম থেকে ওঠাটাও একটি দৈনন্দিন শৃঙ্খলা৷ দিন শুরুটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হলেই, গোটা দিনটিও নিজের আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়৷ আর এটাকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন পৃথিবীর একাধিক প্রতিষ্ঠা পাওয়া বহু মুখই৷ এই পৃথিবীর প্রতিটি সফল মানুষই সময়ের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন৷ ঘুমের মধ্যে সময় অপচয় না করেই তারা আজ হয়ে উঠেছেন বিশ্ব নেতা৷
তাঁরা বিশ্বাস করে যে সম্মানটা অর্জন করে নিতে হয় নিজেকেই। নিজের সম্মান নিজের কাজের মাধ্যমে অর্জন করতে না পারলে কখনই সম্মানিত হওয়া যায়না। সফল ব্যক্তিরা ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখার স্বপ্ন দেখে। বিশ্বের সফল মানুষদের দেখলেই বোঝা যাবে, তাঁদের জীবনে সময়ের গুরুত্ব কতটা। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে অনেকটা সময় হাতে পাওয়া যায়। নিজেদের তৈরি করে নেওয়া যায় নিজেদের মতো।
বিল গেটস বলুন বা মার্ক জুকারবার্গ, বিরাট কোহলি বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি- এঁদের দিনই শুরু হয় অনেক আগে।
নরেন্দ্র মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী : সকালে ঘুম থেকে ওঠেন ৫টায়৷ করেন প্রাণায়াম, সূর্য বন্দনা, যোগা৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দিন শুরু হয় সকাল সাড়ে ছ’টায়। তার পরে চলে ওয়েট ট্রেনিং, জিম। অনেক পরে পরিবারের সঙ্গে প্রাতঃরাশ সারেন বিশ্বের একনম্বর দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট।
ক্রিকেট তারকা ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি সকাল ছ’টায় ঘুম থেকে উঠে পড়েন। এর পরেই ঘাম ঝরানোর কাজে নেমে পড়েন। বিভিন্ন ধরনের ওয়েট ট্রেনিং করেন কোহলি। এর মধ্যে রয়েছে কার্ডিও অনুশীলন।
মার্ক জুকারবার্গ, ফেসবুক প্রধান, ওঠেন ভোর ৬টায়৷ সকালেই পৌঁছে যান নিজের অফিসে৷ বিল গেটস, মাইক্রোসফট : সকাল ৫টায় উঠে ব্যায়ামের জন্য অন্তত এক ঘণ্টা সময় কাটান৷ মুকেশ আম্বানি, রিলায়েন্স : রোজ সকালে পাঁচ থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে উঠে পড়েন৷ এক ঘণ্টা জিম করেন৷ নিয়োম করে পড়েন সংবাদাপত্র৷
সূর্য উঠে গেলে এঁরা বিছানায় শুয়ে থাকেন না। বরং নিজেদের তৈরি করতে শুরু করে দেন। আর এটাই সাফল্যের বীজমন্ত্র।
যে সব ব্যক্তি জীবনে সফল হয়েছেন তাঁরা নিজের উপর নিজের সবচাইতে বেশি বিশ্বাস করেন। তাদের ধ্যান ধারণা, বুদ্ধি কখনই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। সফল ব্যক্তিরা ভয় পান না। সমাজের কে কি বললো, কে কিভাবে গ্রহণ করলো সেটা নিয়ে তাঁরা মাথা ঘামান না। সফল ব্যক্তিরা নিজের কাজে নেশাগ্রস্ত। নিজের কাজে কখনই তাঁরা ফাকি দিতে পারেন না।