থ্রি-জির রেশ কাটতে না কাটতেই চালু হতে যাচ্ছে ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই গ্রাহকরা এই সেবা পাবেন। এতে করে মোবাইল ফোনের গ্রাহকরা আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবে শুরু হয়েছে ফোর-জি চালুর তরঙ্গ নিলাম। বিটিআরসি’র উদ্যোগে এই নিলামে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক অংশ নিয়েছে।
ফোর-জির জন্য রবি ও টেলিটকের কাছে যথেষ্ট তরঙ্গ থাকায় তারা নিলামে অংশ নিচ্ছে না। নিলামের পরে ফোর-জি চালুর জন্য সময় থাকবে এক সপ্তাহ। ফলে মোবাইল ফোন অপারেটররা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ফোর-জির লাইসেন্স পাবেন। পরদিন থেকেই তারা গ্রাহকদের নতুন এই সেবা দিতে পারবেন।
নিলামের শুরুতে বিটিআরসি’র সচিব মো. সরোয়ার আলম বলেন, ‘আশা করছি, দেশের মানুষ ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই ফোর-জি সেবা পেতে শুরু করবেন। তবে এটা ভালোভাবে পেতে কিছুটা সময় লাগবে।’
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, ফোর-জি ও থ্রি-জি মধ্যে গুণগত পার্থক্য ব্যাপক। যে গ্রাহক ফোর-জি সেবা নেয়া শুরু করবেন, তিনি আর থ্রি-জিতে ফিরে যেতে চাইবেন না।
ফোর-জি সেবা চালুর সব প্রস্তুতি শেষ করেছে গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও সরকারের মালিকানাধীন টেলিটক।
সেবাদাতা এসব প্রতিষ্ঠান বলছে, সব কাজ সেরে গ্রাহক পর্যায়ে ঢাকাসহ দেশের বড় বিভাগীয় শহরে ফোর-জি সময় মত চালু করা যাবে।
বিটিআরসি’র নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়ার দেড় বছরের মধ্যে দেশের সব জেলা শহরে এবং বাকি তিন বছরের মধ্যে সব উপজেলায় সেবাটি চালু করতে হবে।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, ৯শ’, ১৮শ’ এবং ২১শ’ ব্র্যান্ডের তরঙ্গ নিলামে বিক্রি করা হবে। প্রথম দুটি ব্র্যান্ডের প্রতি মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি মার্কিন ডলার আর ২১শ’ ব্র্যান্ডের জন্য ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
প্রতিটি ব্র্যান্ডের অংশ নেয়ার বিট আরনেস্ট মানি ১৫০ কোটি টাকা করে। ফোর-জি সেবা চালুর লাইন্সেসের জন্য গত জানুয়ারিতে ৫টি মোবাইল ফোন অপারেটর বিটিআরসি’র কাছে আবেদন করেছিল। তরঙ্গ নিলাম থেকে সরকার অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আয় করতে চাইছে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।