এ বছর হজ গমনেচ্ছুদের ফ্লাইট আগামী ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর হজে গমনেচ্ছকদের প্রাক-নিবন্ধিতদের মূল নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এ কথা জানান।
আজ ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত। হজযাত্রীদের যেকোনও ধরনের অভিযোগ জানাতে ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী জানান, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার জন। নির্দিষ্ট আকার ও জাতীয় পতাকাখচিত পলিব্যাগ ও কিটব্যাগ হজযাত্রীদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় কিনতে হবে বলেও জানান তিনি।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন ছাড়া কোনও হজযাত্রীকে প্রতিস্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া, হজযাত্রীদের কোনও ধরনের পুলিশ ভেরিফিকেশনও লাগবে না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দু’টি প্যাকেজ আছে। প্যাকেজ ১-এর জন্য দিতে হবে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। আর প্যাকেজ ২-এর জন্য লাগবে তিন লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এর মধ্যে বিমান ভাড়া এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা।
ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান জানান, ২০১৭ সালে হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ১৯৩টি এজেন্সির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব পর্বে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে ৬৪টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে ও জরিমানা করা হয়েছে। ১৭টি এজেন্সির লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর বাইরে ৪৯টি এজেন্সিকে জরিমানা, তিরস্কার ও সতর্ক করা হয়েছে এবং ১২টি হজ এজেন্সিকে সতর্ক করা হয়েছে। আরও ৫১টি হজ এজেন্সিকে হজযাত্রী পাঠানোর কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
