রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাততলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।রোববার সকালে তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
নিহত সূচনা খাতুন (১৮) পুঠিয়া পৌর সদর এলাকার কালীতলার সাইফুলের মেয়ে।
পরিবারের দাবি, অসামাজিক কাজের অভিযোগে পুলিশ সূচনাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। পরে জামিনে বেরিয়ে ঢাকায় গিয়ে আত্মহত্যা করে।
সূচনার দাদা অলিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাড়িতে অসামাজিক কাজ হয়, এমন কথা বলে আমার নাতনি সূচনাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। সে সময় সন্দেহজনকভাবে আরও দুই যুবককেও আটক করে পুলিশ। পর দিন শুক্রবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করে। ওই দিন আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত আমার নাতনিকে জামিন দেন। জামিনে বাড়ি আসার পর লজ্জায় আমার নাতনি ও পুত্রবধূ শনিবার সকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পূর্ব নাখালপাড়া বোনের বাড়িতে চলে যায়।
সূচনার খালা আফিয়া বেগম বলেন, আমার বোন তার দুই মেয়েকে নিয়ে শনিবার বিকালে আমার বাসায় আসে। রাত ৯টার দিকে সূচনা সাততলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সে মারা যায়।
পুঠিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, সূচনা আমাদের বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সে কয়েকটি পরীক্ষা দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে দুই যুবকসহ ওই মেয়েকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করি। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
সূচনার আত্মহত্যার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই মেয়েটি মারা গেছে কিনা সেটি আমার জানা নেই।