হকিং এর লাইফ এর দশ তথ্য

হকিং এর লাইফ এর দশ তথ্য

বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আজ বুধবার মারা গেছেন। গত ৮ জানুয়ারি ছিল তাঁর ৭৬তম জন্মবার্ষিকী। বিজ্ঞানের দুনিয়ায় সবচেয়ে পরিচিত মুখ হকিংয়ের গবেষণা ও কাজ কয়েক দশক ধরেই মানুষকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন:

 

১. ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন হকিং। বেড়ে ওঠেন সেন্ট আলবানসে। চার ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন। হকিংয়ের বাবা ফ্র্যাঙ্ক হকিং ছিলেন জীববিজ্ঞানের গবেষক। মা ইসাবেল হকিং রাজনৈতিক কর্মী। বাবা চেয়েছিলেন, হকিং বড় হয়ে চিকিৎসক হোক। ছেলেবেলা থেকেই হকিংয়ের আগ্রহ বিজ্ঞান আর গণিতে। তাঁর জন্মদিনের তারিখ আরেক বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলির ৩০০তম মৃত্যুবার্ষিকী।

 

২. ১৯৫৯ সালে ১৭ বছর বয়সে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন হকিং। চেয়েছিলেন গণিতে পড়তে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত পড়ার সুযোগ না থাকায় পদার্থবিজ্ঞান পড়েন। তিনি প্রথম বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

 

৩. হকিংয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রির সংখ্যা এক ডজন। ১৯৮২ সালে সিবিই অর্জন করেন। রয়্যাল সোসাইটির ফেলো ও ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের সদস্য তিনি।

 

৪. হকিং ২১ বছর বয়স থেকে অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস (এএলএস) রোগে ভুগছিলেন। এ রোগ খুব কম দেখা যায়। এটি খুব ধীরে ধীরে মানুষকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে ফেলে।

 

৫. ১৯৮৫ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তাঁর ভোকাল কর্ড ও ল্যারিংস নষ্ট হয়। এতে কি-বোর্ড চালিত ইলেকট্রনিক স্পিচ সিনথেইজার তাঁর হুইলচেয়ারে বসানো হয়।

 

৬. ১৯৯৮ সালে তাঁর লেখা ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বইটি সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের একটি। ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর ও আপেক্ষিকতা নিয়ে গবেষণার জন্য বিখ্যাত ছিলেন ব্রিটিশ এই পদার্থবিদ। চার বছরের বেশি সময় ধরে সানডে টাইমসের সেরা বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকার শীর্ষে ছিল এটি।

 

৭. ২৫ বছরের বিবাহিত জীবনে তিন সন্তানের জনক হকিং। জেন হকিংয়ের সঙ্গে ১৯৯৫ সালে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তাঁর। পরে নার্স এলাইন মেসনকে বিয়ে করেন।

 

৯. হকিং ও তাঁর মেয়ে লুসি হকিং মিলে ২০০৭ সালে শিশুদের জন্য জনপ্রিয় বই ‘জর্জ’স সিক্রেট কি টু দ্য ইউনিভার্স’ লেখেন। এর তিনটি সিক্যুয়াল রয়েছে।

 

১০. ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পুরস্কারে ভূষিত করেন।